নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিরোধিদের একাংশ। তবে যখন বিজেপি নেতৃত্ব অভিনন্দন মিছিলে ব্যস্ত তখন পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টির সহ-সভাপতি চন্দ্র কুমার বোস প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সিদ্ধান্ত বিষয়ে। তাঁর প্রশ্ন, কেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হল না?
সোমবার মধ্যরাতে নেতাজী প্রপৌত্র চন্দ্র বোস ট্যুইট করে লিখেছেন, যদি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সঙ্গে সত্যি ধর্মের কোনও সম্পর্ক না থাকে তাহলে আমরা কেন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, পার্সি এবং জৈনদের বিশেষভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে! মুসলিমদেরও কেন কেন অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না? আরও স্বচ্ছ হওয়া দরকার।
এই প্রসঙ্গেই অন্য আরেকটি ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের তুলনা করবেন না। ভারতের দরজা সব ধর্মের এবং কমিউনিটির মানুষের জন্যই খোলা।
সোমবার কলকাতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে মহামিছিল করে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেক নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য বিজেপির তরফে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করেছে। শহরে বিজেপির মিছিলের দিনেই এমন মন্তব্য করেছেন রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টির সহ-সভাপতি।
বিজেপির এদিনের মিছিলে প্রায় ১৫ হাজার দলের পতাকা এবং ৩ হাজার ভারতীয় পতাকা উড়িয়ে অভিনন্দন মিছিল করা হয়। এই মিছিল সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজারে পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত যায়।
সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর করতে বিজেপির তরফে প্রচার শুরু করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগে, বিজেপির শরিক দল শিরোমণি আকালি দল মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে সরব হয়েছেন। ভারতের গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার শপথের দিকে তাকিয়ে ত্য এই সিদ্ধান্ত, জানানও হয়েছে দলের তরফে।
সদ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ এবং খ্রীস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করবে যারা ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন।
Be the first to comment