পুজো দেখুন আনন্দে, সঙ্গে মানুন স্বাস্থ্যবিধি

Spread the love

২ সেপ্টেম্বর ২০২০ পিতৃপক্ষের সূচনা হল। ১৭ সেপ্টেম্বর অমাবস্যা তথা মহালয়ার দিন এই পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটবে। সেই দিন বিশ্বকর্মা পুজোর নির্দিষ্ট দিনও। তবে এখন আর প্রায় কারও জানতে বাকি নেই যে এবারে মহালয়াতে সূচনা হচ্ছে না দেবীপক্ষের। এক মাস মলমাস কাটিয়ে ১৭ অক্টোবর উমা আসছেন।

২২ অক্টোবর ষষ্ঠী। করোনা আবহে এবছর পুজো নিয়ে মাতামাতি তুলনামূলক ভাবে কম। কুমোরটুলি, কালীঘাট পটুয়াপাড়া বা অন্যত্র কুমোরপাড়ায় বায়নার সংখ্যা বড়ই কম। সাধারণভাবে শিল্পীদের মাথায় হাত। তবে কলকাতার বড় পুজো উদ্যক্তারা কাটছাঁট করলেও বাতিল করেন নি তাদের পুজো।

এইরকমই একটি পুজো হল গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাবের পুজ। ৫৮ তম বর্ষে পা দেবে এই পুজো। এই পুজোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চন্দ্রিমাদেবীদের হাত ধরে গত ৬ বছর ধরে এই পুজো হচ্ছে মহিলা উদ্যোগে। দক্ষিনে ঠাকুর দেখতে যাওয়া মানুষ হিন্দুস্তান ক্লাবকে দর্শনীয় তালিকাতে সাধারণত রাখেন।

যদিও এবারে বাইরের দর্শক কতোটা আসবেন বা তাঁদের আসা উচিত কী না সেবিষয়ে উদ্যোক্তারা যথেষ্ট সন্দিহান। চন্দ্রিমাদেবী বা অন্যান্য উদ্যোক্তাদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা দর্শন করুন। আমরা জায়ান্ট স্ক্রিন লাগাচ্ছি। দর্শনার্থীরা দূর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিমা দেখুন। প্রতিমার উচ্চতা আগের মতোই থাকছে, প্যান্ডেলে কিছুটা কাটছাঁট করা হচ্ছে। থার্মাল স্ক্রিনিং বা স্যানিটাইজড টানেলের মধ্য দিয়ে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে তবেই ঠাকুর দেখুন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বার্তা আপনার আনন্দ যেন ভবিষ্যতে নিরানন্দে পরিণত না হয়। সেইজন্যই সচেতনভাবে, সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে দুর্গোৎসবে সামিল হন। এটা শুধু আমাদের ক্লাবের জন্য নয়, এই বার্তা বাংলার সব পুজো প্যান্ডেলের দর্শনার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*