প্রয়াত দেশের কিংবদন্তী হকি তারকা চরণজিৎ সিং। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন চরণজিৎ সিং। বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের উনা অঞ্চলে নিজের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এই ঘটনায় দেশের ক্রীড়াজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৬৪ সালে অলিম্পিক্সে সোনা জয় করেছিল ভারতীয় হকি দল। এই দলের অধিনায়ক ছিলেন চরণজিৎ সিং। তাঁর পরিবারে দুই পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছেন। পরের মাসেই তিনি ৯১ বছরে পা দিতেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
১৯৬৪ সালে অলিম্পিকে সোনাজয়ী ভারতীয় হকি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ১৯৬০ সালে তিনি জাতীয় হকি দলের হয়ে রুপোর পদকও জয় করেছিলেন। পাশাপাশি ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে রুপোজয়ী ভারতীয় হকি দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
১২ বছর আগে চরণজিৎ সিংয়ের স্ত্রী প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর বড় ছেলে চিকিৎসক। তিনি পেশার খাতিরে কানাডায় বসবাস করেন। তবে তাঁর মৃত্যুর সময় ছোটো ছেলে কাছেই ছিলেন। তাঁর একমাত্র মেয়ে বিয়ের পর আপাতত দিল্লিতেই থাকেন। ১৯৩১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার আম্ব মহকুমার মেইরি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন চরণজিৎ সিং। সেইসময় এই অঞ্চলটি অবিভক্ত পঞ্জাবের অধীনেই ছিল। লুধিয়ানার পঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেন তিনি।
দেশের এই কিংবদন্তী হকি তারকার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর। তিনি বললেন, ‘এই দুঃখের খবরটা পেলাম যে চরণজিৎ সিং প্রয়াত হয়েছেন। উনি দেশের প্রাক্তন হকি তারকা ছিলেন। উনা থেকে উঠে এসে ১৯৬৪ সালে অলিম্পিক গেমসে ভারতীয় হকি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে পদ্মশ্রী এবং অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আশা করা যায় দেশের আগামী হকি প্রজন্মকে তিনি অনুপ্রাণিত করতে পারবেন। ঈশ্বরের কাছে তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। পাশাপাশি তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
Be the first to comment