ছত্রধর মাহাতকে গ্রেফতারের পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত এনআইএর হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ আদালতে ছত্রধর মাহাত বিচারককে নিজের হাত দেখিয়ে বলেন এনআইএ গোয়েন্দাদের মারের চোটে তাঁর হাত ফুলে গিয়েছে। তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে মারধর করেছেন এনআইএর গোয়েন্দারা।
আজ তাঁর আইনজীবী আদালতে বিচারকের কাছে বলেন কেন ছত্রধর মাহাতকে গ্রেফতার করা হল সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয় । পাশাপাশি ছত্রধর মাহাতর বিরুদ্ধে কোনও নতুন মামলাও নথিভুক্ত হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও আপাতত স্পষ্ট নয় ।
আজ ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ছত্রধর মাহাতোর লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের উপকণ্ঠ নতুন পাকা বাড়িতে প্রথম হানা দেয় এনআইএ । সেখানে তখন তার বড় ছেলে ধৃতিপ্রকাশ মাহাতো এবং ছত্রধর মাহাতো ছয় জন নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে দু’জন সেই বাড়িতেই ছিল । সিকিউরিটি বাড়ির দরজা খুলতেই প্রথমে তাঁদের মোবাইল ফোন এবং দুটো বন্দুক নিয়ে নেয় এনআইএ আধিকারিকরা ।
ছত্রধর মাহাতোর বড় ছেলে ধৃতিপ্রসাদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়া হয় ৷ তারপর পুরো বাড়ি তন্নতন্ন করে তল্লাশি করে এনআইএ । ধৃতিপ্রকাশকে সঙ্গে নিয়ে ছত্রধরের পুরনো মাটির বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ । সেখানেই ছিলেন ছত্রধর ৷
Be the first to comment