উনিশের সেমিফাইনাল ভোটের ফল বেরিয়ে গিয়েছে পাঁচ দিন হয়ে গেল। কিন্তু এখনও ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করতে পারেনি কংগ্রেস। দফায় দফায় পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত না নিতে পেরে, রায়পুরের প্রদেশ কংগ্রেস ভবন বল পাঠিয়ে দেয় নয়া দিল্লিতে হাইকম্যান্ডের কোর্টে। শনিবার রাজ্যের নেতা এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে ছত্তীসগড়ের পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খার্গে এবং পান্নালাল পুনিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে একটি নামে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রবিবার দুপুরে বিধায়ক দলের বৈঠক করে, কে হবে হিন্দি বলয়ের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস।
৭ তারিখে সন্ধেবেলা যখন চ্যানেলে চ্যানেলে বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ হচ্ছে, তখন কেউ দেখিয়েছে এই রাজ্যে রমণ সিং-এর প্রত্যাবর্তন হবে। কেউ আবার বলেছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ায় তখত হারাতে হবে রমণকে। সরকার গড়বে কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রাহুল গান্ধীকে জানিয়ে দিয়েছিলে, “নিশ্চিন্তে থাকুন। ৫০-এর বেশি আসন পাব।” যদিও এক্সিট পোল দেখে পুনিয়াকে ফের ডেকেছিলেন রাহুল। সেদিনও একই কথা ছিল তাঁর। হয়েছেও তাই। রমণ রাজ্যে গেরুয়া সাম্রাজ্যে ধস নামিয়ে উঠেছে রাহুলের হাত।
তারপর থেকেই জল্পনা, কে বসবেন কুর্সিতে?
প্রদেশ সভাপতি ভূপেশ বাঘেল নাকি টিএস সিং দেও? তফসিলি নেতা তাম্রধ্বজ সিং নাকি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চন্দ্রাস মোহন্ত? জানা যাবে এ দিন দুপুরেই।
রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে নবীন-প্রবীণের টক্কর হয়েছে। যদিও রাহুল গান্ধী আস্থা রেখেছেন বর্ষীয়ান অশোক গেহলট এবং কমলনাথের উপর। তা ছাড়া ওই দুই রাজ্যে প্রদেশ নেতাদের সামনে রেখে ভোটে লড়লেও ছত্তীসগড়ের কংগ্রেসে সেই অর্থে কোনও মুখ ছিল না। মাওবাদী আক্রমণে গত কয়েক বছরে সাবেক দলেরই প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই খুন হয়ে গিয়েছেন। তাই পর্যবেক্ষকদের মতে, ছত্তীসগড়ের জয়ের কৃতিত্বের সিংহভাগটাই রাহুলের। কিন্তু মাওবাদী অধ্যুষিত এই রাজ্যে, উনিশের ভোটের আগে সংগঠন ধরে রাখা কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই কার হাতে ছত্তীসগড়ের মহাকরণের চাবি ওঠে এখন সেটাই দেখার।
Be the first to comment