ছত্তীশগড় বিধানসভা নির্বাচনের সংবেদনশীল এলাকা হল বস্তার । নির্বাচনের আগেই লাগাতার মাওবাদী হামলার কারণে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন রীতিমত এক চ্যালেঞ্জ সিআরপিএফদের জন্য ।
নক্সাল অধ্যুষিত অঞ্চল সুকমা । মাওবাদী হামলা ও বিস্ফোরণের জন্য প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেয় সুকমা । ছত্তীশগড়ে দুদফা নির্বাচনের আগে আইডি বিস্ফোরণের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে ২৪ ঘন্টা কড়া টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছে সিআরপিএফ। অত্যাধুনিক যন্ত্র না থাকার কারণে, চার ফুটের বেশি গভীর আইডি খোঁজা সম্ভব হয় না জওয়ানদের পক্ষে ।
অনেক সময় গাছপালা ও ঝোপঝাড়ের মাঝেও আইডি পোঁতা থাকে যা ১০০-২০০ মিটার দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় । ফলে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী । রুটিন ডিউটি ছাড়াও নিজেদের সুরক্ষিত রাখাও একটি বিশেষ ঝুঁকির কাজ তাঁদের জন্য।
মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত লালগড় । নির্বাচনের আগে ক্রমাগত নিরাপত্তারক্ষীদের টার্গেট করে মাওবাদী গোষ্ঠীগুলি। গত এক মাসে মাওবাদী হিংসায় অন্তত ১৫ জওয়ান শহীদ হয়েছেন । বস্তারে মাওবাদী হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন পথচারী ও একজন সাংবাদিকের ।
সিআরপিএফ এর ব্যাটেলিয়ান অ্যাসিস্টান্ট সোমনারায়ন জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের প্রাত্যহিক নিরাপত্তা ছাড়াও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন হয়েছে কেবলমাত্র মাওবাদী আতঙ্কের কারণে । জাতীয় সড়কের মাধ্যমে নিকটবর্তী গ্রামগুলিতেও অনেক সময় হামলা চালায় মাওবাদীরা , সুতরাং নির্বাচনের আগে শান্তি বজায় রাখাকেই প্রধান গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা ।
গ্রামবাসীদের ভোট না দেওয়ার জন্যও ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে মাওবাদী গোষ্ঠীগুলি। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে যাবতীয় পোস্টার ও ব্যানার । প্রত্যেকটি গ্রামবাসী যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারেন তার জন্য বদ্ধপরিকর সিআরপিএফ । গণতন্ত্র বজায় রাখতে তাই কড়া প্রহড়ার মাঝেই সময় কাটছে ছত্তীশগড়ের ।
Be the first to comment