প্রাণ বাঁচানোর জন্য যে অ্যাম্বুল্যান্স, সেই-ই কেড়ে নিল অসুস্থ শিশুর প্রাণ। ছত্তিসগড়ের রায়পুরের ঘটনা শুনলে চমকে উঠতে হয়।
হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণে তাকে দিল্লি এইমসে নিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের বাসিন্দা অম্বিকা কুমার। সেখান থেকে শিশুটিকে রায়পুরের ডা. ভীমরাও আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এখানেই শিশুটির হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। এইমসের পরামর্শ মতো অম্বিকা ও তাঁর স্ত্রী ট্রেনে রায়পুরে আসেন।
রায়পুর স্টেশনে নেমে অম্বিকা একটি অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস সেন্টারে ফোন করে গাড়ি আনান। সেই অ্যাম্বুল্যন্স হাসপাতালে পৌঁছনোর পরই বিপত্তি। অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা কোনওভবেই খোলা যাচ্ছিল না। টানা ২ ঘণ্টা গাড়ির মধ্যেই আটকে থাকে শিশুটি। ভেতরে অক্সিজেনের কোনও ব্যবস্থাও ছিল না।
শিশুটির বাবা অম্বিকার অভিযোগ, তিনি অ্যাম্বুল্যান্সের জানলা ভাঙতে গিয়েছিলেন কিন্তু চালক তাঁকে তাকে বাধা দেন। জানালা ভাঙা হলে তা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হবে বলে বাধা দেন ওই চালক। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে মিস্ত্রি এসে অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। শেষপর্যন্ত গাড়ির পেছনের একটি জানলা ভেঙে শিশুটিকে বের করা হয়। কিন্তু তখন সব শেষ।
Be the first to comment