আদালত ভবনেই অভিযুক্তদের বেধড়ক মারধর। চেন্নাই মহিলা আদালত ভবনেই ১৭ ধর্ষণ অভিযুক্তকে মেঝেতে ফেলে মারল আইনজীবীরা। হাজিরা দেওয়ার পর তাদের আদালতের তৃতীয় তল থেকে পুলিস যখন নীচে নামিয়ে আনছিল তখনই তাদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আইনজীবীরা।
অভিযুক্ত ১৭ জন পরিকল্পনামাফিক এক ১১ বছরের বালিকাকে ব্ল্যাকমেইল করে টানা সাত মাস ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। মেয়েটি ভালোভাবে শুনতে পায় না। ক্লাস সেভেনের ওই ছাত্রীটি থাকে চেন্নাইয়ের একটি কমপ্লেক্সে।
মেয়েটিকে প্রথম ধর্ষণ করে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী। তার পর সে একে একে জুটিয়ে ফেলে লিফটম্যান, জলকলের মিস্ত্রি সহ ২২ জনকে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভিডিও তুলে রেখে মেয়েটিকে ব্ল্যাক মেইল করা হয়। কমপ্লেক্সের বেশকিছু ঘর ফাঁকা রয়েছে। সেইসব ঘরকেই ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হতো। সাত মাস ধরে চলে ওই কাণ্ড।
দিনের পর দিন ওই কাণ্ড চলার পর অবশেষে মেয়েটি তার দিদিকে সবকিছু বলে দেয়। এরপরই মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করেন। মামলা ওঠে আদালতে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল চেন্নাইয়ের মহিলা আদালতে। সেখানেই অভিযুক্তদের বেধড়ক মারধর করেন জনা পঞ্চাশেক আইনজীবী।
Be the first to comment