আইএনএক্স মিডিয়া অর্থ পাচার মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে তিহার জেলেই বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রয়োজনে করা হতে পারে গ্রেফতারও। এই মর্মে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির এক আদালত। এই আবেদনের রায়দান সোমবার মুলতুবি রাখে আদালত।
রায়দানের পর ইডি’র তরফে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয় যেন রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালত চত্বরেরই নির্দিষ্ট একটি স্থানে চিদাম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু জবাবে ইডি-কে আদালত জানায় এখানে আপনাদের প্রকাশ্য জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেফতারি এই ব্যক্তির মর্যাদার সঙ্গে বেমানান।
এদিকে এই একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে জামিনের আবেদন জানিয়ে চিদাম্বরম দাবি করেছেন যে তাঁকে স্রেফ অপমান করার জন্যই জেলবন্দি করে রেখেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এই মামলায় চিদাম্বরম সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, সেই সম্ভাবনা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়ে তাঁর পক্ষের দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বাল এবং অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে জানিয়েছেন যে, এই মামলায় কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন চিদাম্বরম বা তাঁর পরিবার, এমন অভিযোগ নেই। দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় কারোর কোনও আর্থিক ক্ষতি অথবা টাকা পাচারের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর চিদাম্বরমের জামিন না মঞ্জুর করার দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিব্বাল এবং সাংভি। এই সিদ্ধান্তের মূলে ছিল তিনটি বিষয় – ফ্লাইট রিস্ক, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করা। সিবিআই-এর তরফে বুধবার আদালতে নিজের বক্তব্য পেশ করবেন সলিসিটর-জেনারেল তুষার মেহতা।
অন্যদিকে, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় অস্বস্তি বেড়েছে চিদাম্বরমের। এই মামলায় গত ১১ অক্টোবর চিদাম্বরম এবং তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমকে নোটিস জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগে চিদাম্বরম এবং কার্তির আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছিল আদালত। সেই আগাম জামিন খারিজের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে নোটিশ দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৯ নভেম্বর।
Be the first to comment