জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে গৃহবন্দি কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সরকারের এই সিদ্ধান্তের মর্মাহত কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহব্নদি করে রাখা হয়েছে। এবার তাঁদের উপর লাগু করা হয়েছে জন সুরক্ষা আইন। উপত্যকার এই দুই নেতা-নেত্রীর উপর কেন্দ্র জন সুরক্ষা আইন লাগু করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। শুক্রবার সকালে টুইট করে নিজের বিস্ময় ও দুঃখ পাওয়ার কথা জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। টুইটে চিদম্বরম লেখেন, ‘বিনা অভিযোগে আটক রাখা গণতন্ত্রের সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ। অন্যায্য আইন প্রয়োগ হলে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় আছে?’
৬ মাস ধরে গৃহবন্দি কাশ্মীরি নেতারা। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রায় ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা। এবার মোদী সরকার তাঁদের উপর জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করায় সেই বন্দিদশা আরও বাড়তে চলেছে। জন সুরক্ষা আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তিকে আদালতে না নিয়ে গিয়েও এই আিনের বলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যাবে।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর অশান্তির আশঙ্কায় আগেভাগেই একাধিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা উপত্যকা দখলে নিয়ে নেয় সেনা। জায়গায় জায়গায় চলে সেনা-পুলিশের টহলদারি। ভূস্বর্গে সভা-জমায়েত নিষিদ্ধ করে সরকার। ইন্টারনেট, কেবল টিভি পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে আশান্তি দমনের চেষ্টা হয়। এরই পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের উপর চলে কড়া নজরদারি।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। যদিও কাশ্মীরে কেন্দ্র বাড়াবাড়ি করছে বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এমনকী বিরোধী দলের নেতাদের কাশ্মীর সফরেও প্রাথমিকভাবে অলিখিতভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়।
Be the first to comment