সদ্যোজাতকে প্রথমে অপহরণ।তারপরেই প্রেমিককে ফোন। কোলের শিশু নাকি তাঁদেরই, তাই বিয়ে না করলে বিপদ বাড়বে বলে হুমকি। ঘটনাটি গুজরাতের জামনগরের। প্রেমিককে বিয়েতে রাজি করাতেই সদ্যোজাতকে অপহরণ করে ফেললেন যুবতী। রীতিমতো পরিকল্পনা করে হাসপাতালে ঢুকে শিশুকে অপহরণের পর প্রেমিককে হুমকি ফোন করতে শুরু করেন। তবে শেষ রক্ষা হলো না, শিশু অপহরণকারী প্রেমিকা শিল্পা ভাগেলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শিশুকে অপহরণ করতে নার্স সাজেন শিল্পা। খুব সহজেই ঢুকে পড়েন জামনগরের একটি হাসপাতালে। ইনজেকশন দেওয়ার নামে সদ্যোজাতকে তার ঠাকুমার কোল থেকে নিয়ে নেন তিনি। এরপরই কোলের শিশুর খোঁজ না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায় শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন একটি নার্স। যাঁকে এর আগে হাসপাতালে দেখা যায়নি।
এদিকে মেয়ের এই কীর্তি মেনে নেননি শিল্পার পরিবার। তাঁরা শিশুকে ফেরত দেওয়ার জন্য শিল্পাকে চাপ দিতে শুরু করেন। উপায় না দেখে নার্সের পোশাক বদলে পুলিশকে ফোন করেন শিল্পা। জানান, একটি মন্দিরের সামনে থেকে শিশুটিকে তিনি উদ্ধার করেছেন। পুলিশ শিল্পার বাড়ি আসলে হাসপাতালের ফুটেজে অপহরণকারী মহিলার সঙ্গে শিল্পার মুখের মিল পান। গ্রেফতার করা হয় শিল্পাকে।
পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেই শিল্পা জানান, তিন বছর ধরে এলাকারই একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু, প্রেমিক তাঁকে বিয়ে করতে না চাওয়ায় অশান্তি শুরু হয়। রাজি করাতেই কয়েক মাস আগে প্রেমিককে শিল্পা জানান সে গর্ভবতী। গর্ভপাতের পরামর্শ দেন যুবক। তারপরেই পরিকল্পনা করে শিশু অপহরণ করেন শিল্পা। তাঁর গর্ভবতী হওয়ার খবরও মিথ্যে ছিল বলে স্বীকারোক্তি। জামনগর আইআইটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সে। শিশু অপহরণের মামলায় শিল্পাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Be the first to comment