১২ বছরের নীচে শিশু-ধর্ষকদের সাজা মৃত্যুদণ্ড। সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হল লোকসভায়। আইন কঠোর হওয়ার ফলে, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের মাত্রা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া ও উত্তরপ্রদেশের উন্নাওকাণ্ডের পর, দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ধর্ষণের বিরুদ্ধে তুমুল শোরগোল উঠেছিল। আর তারপরই কঠোর সাজার সংস্থান তৈরি করতে তড়িঘড়ি অপরাধমূলক আইন (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল কেন্দ্র। এদিন এই বিল পাস হওয়ায় তা ওই অর্ডিন্যান্সের বদলে কার্যকর হল।
এদিন বিল পেশ করা হলে, তাকে সমর্থন করে প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল। যদিও, অর্ডিন্যান্স রুটের মাধ্যমে বিল পাস করানোর জন্য বিরোধীদের কয়েকজন সদস্য কেন্দ্রের সমালোচনা করে। কিন্তু, ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সহজেই নিম্নকক্ষে পাস হয়ে যায় বিলটি। বিরোধীদের কয়েকজন এই বিলে আরও সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিলে, তা ধ্বনিভোটের মাধ্যমে খারিজ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, ১২ বছর বা তার নীচে কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করলে, ফাঁসির সাজা দেওয়া হবে অপরাধীকে৷ জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া নাবালিকা গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বা উন্নাওয়ের ধর্ষণের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভের জেরে আইন সংশোধন করে বিলটি পাস করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে কেন্দ্র৷
বিলটি পাস হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, বিলে ১২ বছরের নীচে বালিকা ধর্ষকদের ন্যূনতম সাজা ২০ বছর। সর্বাধিক আজীবন কারাবাস অথবা মৃত্যুদণ্ড। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সাজা আজীবন কারাবাস। সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ড। ১২-১৬ বছরের মধ্যে কিশোরীদের ধর্ষণকারীদের ন্যূনতম সাজা ২০ বছর করা হয়েছে। সর্বাধিক আজীবন কারাবাস। পাশাপাশি, মহিলাদের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম সাজা সাত বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। সর্বাধিক যাবজ্জীবন।
Be the first to comment