আজকে আমাদের ‘রোজদিন’ পোর্টালের ‘নব আনন্দে জাগো’ সেগমেন্টের দ্বিতীয় দিনে যে রন্ধন উৎসাহী বন্ধু তার অভিনব রেসিপি শেয়ার করছেন…. তিনি হলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রানী সেন এর সুযোগ্যা ছাত্রী জয়িতা দে। যিনি কিছুদিনের জন্য আমারও সঙ্গীত গুরু ছিলেন। ব্যাক্তিগত ভাবে খুব কাছ থেকেই চিনি জয়িতাদিকে। কঠোর অধ্যাবসায়ের মধ্যে দিয়ে নিজেকে জয়িতা দি এই জায়গায় ধরে রেখেছেন। একদিকে রেকর্ডিং নিয়ে দিদি যেমন ব্যস্ত অপর দিকে ঠিক তেমনই নিজের গানের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়েও সপ্তাহে প্রায় রোজ দিনই ক্লাস চলে। এতো কিছু সামলেও এখনও একা হাতে রান্না বান্না করেন তিনি। বাড়ির প্রতিটি লোকের যত্ন থেকে শুরু করে ছেলের স্কুল সব নিজে একা হাতে সামলান।
নৈহাটীতে বড়ো হয়ে ওঠা জয়িতাদি মাত্র চার বছর বয়স থেকেই স্টেজ পারফর্ম শুরু করেন। তারপর আর থামেন নি জয়িতা দে। একের পর এক সুযোগ জয়িতাদির জীবনে আসতে থাকে এবং জয়িতাদির সঙ্গীত জগতের অভিজ্ঞতাও বাড়তে থাকে। তার পরিবারে গানের চর্চা থাকলেও জয়িতাদিই প্রথম পারিবারিক গন্ডির বাইরে বেড়িয়ে সংগীতকে এক বিশেষ মাত্রা দেন। তিনি একদিকে যেমন আধুনিক সঙ্গীতে পারদর্শী ঠিক তেমনি রবীন্দ্র সংগীত এবং নজরুল গীতিতেও সমান দক্ষতা রাখেন তিনি।
জয়িতা দে বর্তমানে গান রেকর্ডিং নিয়ে বেশ ব্যাস্ত। কিন্তু রান্নাটা যেহেতু তার অপর একটি ভালো লাগার বিষয় সেইজন্য যখনই আমাদের রোজদিন পোর্টালের ‘নব আনন্দে জাগো’ সেগমেন্ট সম্বন্ধে তিনি জ্ঞাত হয়েছেন তখনই এই সেগমেন্টে রান্না দিতে তিনি উৎসাহিত হয়েছেন। আমরা রোজদিন এর টিম ও আশা রাখি আমাদের গ্রুপ মিটে নিশ্চয়ই জয়িতা দে এর গান শুনতে পাবো এবং সেটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড়ো পরম পাওয়া।
আজকের রেসিপি- “চিলি সোয়াবিন”
উপকরণ: আদা, পেঁয়াজ,রসুন বাটা, আলু, কনফ্লওয়ার, ডিম, জিরে গুড়ো, নুন স্বাদ মতো, চিনি, লঙ্কা, টমেটো কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি।
প্রণালী: একটি বাটিতে সোয়াবড়ি ও ছোট করে কাটা আলু নিয়ে একে একে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে 20 মিনিট রাখতে হবে। তারপর কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে টমেটো কুচি ও ক্যাপসিকাম কুচি ভেজে বাটির তৈরি মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। একটু তেল বারোলে তাতে কনফ্লাওয়ার মেশানো জল দিন । তারপর একটু ফুটে উঠলে নামিয়ে গরম গরম পরোটার সাথে পরিবেশন করুন।
Be the first to comment