জল্পনা সত্যি করে মঙ্গলবারই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পর থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। যার অর্থ বিহারে সরকারিভাবে এনডিএ জমানার অবসান। এহেন পরিস্থিতিতে নীতীশকে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা গেল লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসওয়ানকে। সোমবারই তিনি বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে কংসের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এদিন রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে নীতীশ ইস্তফা জমা দেওয়ার পরে চিরাগ দাবি করলেন, বিহারে লাগু হোক রাষ্ট্রপতি শাসন। তারপর নতুন করে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বেছে নেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, নীতীশ যা চেয়েছেন তাই মেনে নিয়েছিল বিজেপি। তবুও তাদের সঙ্গত্যাগ করলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলেকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”নীতীশ কুমার আবারও জনাদেশকে অপমান করলেন। উনি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন… এটা কি রসিকতা হচ্ছে? একবার আপনি একজনের সঙ্গে যাবেন। পরে আবার আরেক দিকে হাঁটবেন। আমার মাননীয় রাজ্যপালের কাছে আরজি, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন করে জনাদেশ নেওয়া হোক।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, নতুন করে নির্বাচন হলে নীতীশের দল কোনও আসনই পাবে না।
উল্লেখ্য, চিরাগ ছাড়াও তাঁদের দল ভেঙে তৈরি হওয়া রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টিও বিজেপির পাশেই থাকার ইঙ্গিত করেছে। ফলে নীতীশ সরে যাওয়ার পরেও বিহারে টিকে থাকার রসদ যে আপাতত বিজেপির হাতে থাকছে তা পরিষ্কার। সব মিলিয়ে বিহারে যে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে ইস্তফা দেওয়ার পরে লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে যান নীতীশ। এরপরই লালু-কন্যা রোহিণী আর্য টুইট করে লেখেন ‘রাজতিলক কা করো তৈয়ারি, আ রহে হ্যায় লণ্ঠনধারী’। যা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, তেজস্বী-লালুর দলের সমর্থন পাচ্ছেন নীতীশ। আরজেডি ছাড়াও তাঁর পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে কংগ্রেস ও বাম দলগুলিও।
Be the first to comment