দেশের দ্বিতীয় পুরুষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাঁর নামে প্রকাশ পেল ডাকটিকিট। ৮২তম জন্মদিনে কিংবদন্তি চুনী গোস্বামীর মুকুটে যোগ হল নয়া পালক। ভারতীয় ক্রিকেটের মহীরুহ সচিন তেন্ডুলকরের পর ভারতবর্ষের দ্বিতীয় পুরুষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী করেন বর্ষীয়ান এই ক্রীড়াবিদ। মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর রয়েছে এই অনন্য সম্মান।
বাংলার জার্সিতে ৪৬টি প্রথম শ্রেণী ম্যাচ পাশাপাশি ফুটবলার হিসেবে ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন চুনী। ক্রীড়াবিদ হিসেবে এমন বর্ণময় জীবন দেশের খেলাধূলার জগতে বিরল। যে কারণে বরাবরই ব্যতিক্রম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দেশের তৃতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে সুবিমল ওরফে চুনী গোস্বামীর মুকুটে যোগ হওয়া নয়া এই পালক বোধহয় প্রত্যাশিতই ছিল। অবশেষে ৮২তম জন্মদিনে এই সম্মান আলাদা মাত্রা যোগ করল ১৯৬২ এশিয়াডে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়কের জীবনে।
বয়সের ভারে শরীর বর্তমানে ন্যুব্জ অনেকটাই। তবু জন্মদিনে ডাকটিকিট প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রাণখোলা হাসি চুনীর ঠোঁটে। আর হবে নাই বা কেন। কেরিয়ারে ফুটবল মাঠ ও বাইশ গজে তাঁর সমান দাপট যেন আরও একবার সার্থক হল তাঁর নামে ডাকটিকিট প্রকাশের ঘটনায়। শুধুমাত্র এশিয়ান গেমসই নয়, অলিম্পিকে দেশের ফুটবলকে প্রতিনিধিত্ব করার কৃতিত্ব রয়েছে চুনী গোস্বামীর। ফুটবল কেরিয়ারে আজীবন মোহনবাগানের হয়ে খেলা চুনীর বাংলার হয়ে রঞ্জি অভিষেক ১৯৬২-৬৩ মরশুমে। নেতৃত্ব প্রদান করে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলাকে পৌঁছে দেওয়ার নজিরও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৩ অর্জুন পুরস্কার, ১৯৮৩ পদ্মশ্রী, ২০০৫ মোহনবাগান রত্ন ধরা দিয়েছে তাঁর অ্যাচিভমেন্টের ক্যাবিনেটে। দাকটিকিট প্রকাশের ঘটনায় যেন পূর্ণ হল ষোলোআনা। ডাকবিভাগের আধিকারিকেরা বাড়িতে এসে আগেই নিয়ে গিয়েছিলেন ছবি। বুধবার জন্মদিনে যোধপুর পার্কের বাড়িয়ে এসে কিংবদন্তির হাতে তাঁরই নামাঙ্কিত ডাকটিকিট তুলে দিলেন ডাকবিভাগের আধিকারিকেরা। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় আপ্লুত বর্ষীয়ান ক্রীড়াবিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে।
Be the first to comment