জিয়াগঞ্জের সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার তদন্তে এবার যুক্ত হচ্ছে CID। CID-এর বিশেষ তদন্তকারী দল শনিবারই পৌঁছে গেল ঘটনাস্থলে। ভবানীভবন সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে। তদন্তকারীরা আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি যে ব্যক্তিরা খুনের পর আততায়ীদের পিছন দিয়ে পালাতে দেখেছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে পারে তদন্তকারী দল। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদ পুলিশ CID-এর সহযোগিতা চায়। যদিও আগেই CID তদন্তের দাবি উঠেছিল। তবে পুলিশের আশা দ্রুত এই ঘটনার কিনারা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বন্ধুপ্রকাশের কাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। কী কারণে দাম্পত্য কলহ, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিউটি এবং বন্ধুপ্রকাশের আত্মীয়দের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর দিন দুপুরে জিয়াগঞ্জে নিজের বাড়িতেই খুন হন বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল (৩০) ও পুত্র অঙ্গন (৫)। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের খুন করে আততায়ীরা। এরপরই বন্ধুপ্রকাশকে RSS কর্মী বলে দাবি করে জেলা এবং রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাদের দাবি এই খুন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং RSS করার জন্যই প্রাণ গেল ওই শিক্ষকের। ঘটনা নিয়ে অপর্ণা সেন টুইট করেন। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনায় CBI তদন্তের দাবি করেছেন। এরই মাঝে নবান্নে রিপোর্ট পাঠাল পুলিশের তদন্তকারী দল। সেই রিপোর্ট বলছে, এই ঘটনা নিয়ে বন্ধুপ্রকাশের আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে চেয়েছিল বন্ধুপ্রকাশের RSS যোগের বিষয়টি নিয়ে। পুলিশের দাবি, সবাই এই বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। এমন কী এই খুনের সূত্রের খোঁজে গোটা বাড়িতে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেই তল্লাশিতে কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি, যা প্রমাণ করবে বন্ধুপ্রকাশের RSS বা কোন রাজনৈতিক যোগ ছিল। খুন হওয়া শিক্ষকের পরিবারের লোকজন এই বিষয়টির সমালোচনা করেছে বলে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment