পার্বত্য চট্টগ্রামে গৃহযুদ্ধের মত পরিস্থিতি..

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক:-

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সংকট প্রায় অর্ধ শতাব্দীর পুরনো একটি বিষয়। একটি স্বতন্ত্র সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর হতেই এই সংঘাতের সূচনা। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান এই সমস্যার সৃষ্টি ও দীর্ঘায়িত করার পিছনে যেমন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তেমনি এই অঞ্চলে বিচিত্র জাতিতাত্ত্বিক ও জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশেষত্ব প্রায় অমোচনীয় প্রভাব ফেলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের এই রাজনৈতিক ও সামরিক সংকট প্রায় পাঁচ দশকের পুরনো একটি বিষয়।স্থানীয়দের বক্তব্য, পার্বত্য এলাকার তিন জেলায় গৃহযুদ্ধ বেঁধেছে। বাসিন্দাদের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। বিবদমান দুই শিবিরই অভিযোগ করছে, প্রশাসন মৃত ও আহতদের প্রকৃত সংখ্যা চেপে যাচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রেস উইং আইএসপিআর বা আন্ত বাহিনী জনসংযোগ দপ্তর লম্বা বিবৃতি দিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, তিন পার্বত্য জেলায় চলমান সংঘর্ষ বড় দাঙ্গার রূপ নিতে পারে। বিবৃতিতে সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতির ছবিও তুলে ধরেছে সেনা সদর। জানা গিয়েছে, প্রাণ ভয়ে হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছাড়ছেন। অনেকেই ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তে ভিড় জমিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার প্রতিবাদে পাহাড়িয়া বা আদিবাসী মানুষ রাঙামাটি জেলা সদরে শুক্রবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিলে বাংলাভাষীরা তার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। রাঙামাটি জিমনেসিয়াম এলাকায় আয়োজিত সেই সভার উপর আটশো থেকে হাজার মানুষ পাল্টা মিছিল বের করলে দু-দলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয় মসজিদ, ব্যাঙ্ক, পথচলতি গাড়ি, বাড়িতে হামলা, আগুন দেয় জনতা।
রাঙামাটিতে বেলা ১১’টা থেকে ১’টা পর্যন্ত দু-পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ চলে। তাতে একজন মারা যায়। মৃতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে সে পাহাড়িয়া বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। সংঘর্ষে দু-পক্ষের মোট ৫৫ জন আহত হয়। বেশিরভাগের শরীরে গুলি লেগেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বড় ঘটনাগুলি সংবাদমাধ্যমে খবর হলেও গোটা পার্বত্য এলাকায় সংঘর্ষের অনেকগুলি ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমে উত্তেজনাকর পোস্ট ঘিরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। রাতে সেনা কনভয় আক্রান্ত হলে জওয়ানেরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। তাতে তিনজন মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয় অসংখ্য মানুষ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*