পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা প্রশাসনিক বৈঠকে আজ মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত বিষয় নিয়ে বললেন –
১. এখানকার মানুষ খুব ভালো কাজ করছেন। এখান থেকে গোটা রাজ্যকে আমরা ধন্যবাদ জানাই ১০০ দিনের কাজ ভালো করার জন্য।
২. মোবাইল ভ্যান দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিভাবে কাজ করা যায় সেটা আমরা দেখছি। যেখানে ব্যাঙ্ক নেই সেখানের জন্য কাজ করছি আমরা।
৩. ৪০ হাজার টাকা থেকে লোন বাড়াতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলে আরো বাড়ানোর কথা বললেন। যে সব কৃষকদের ক্রেডিট কার্ড বিলি করা হয়নি তা দ্রুত করে নিতে হবে।
৪. বন্যা আসার আগে যে কাজ আছে তা দেখে নিতে হবে এখনই। আমরা নতুন অল্টারনেটিভ রুট করছি যাতে ১০০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকার নতুন প্রজেক্ট করা হচ্ছে বন্যা মোকাবিলাতে। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান এর মধ্যে ব্রিজ, গেট সারানোর কাজ করা হবে। ২৫০০ কোটি টাকা।
৫. এই জেলার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৫০% কাজ এপ্রিলে বাকি আছে তা মে মাসে হয়ে যাবে।
পঞ্চায়ের সমিতির সদস্যদের বললেন ভালো করে কাজ করবেন। সামনে নির্বাচন আছে। দেখে নেবেন।
৬. কোনো রাস্তায় লাইট বন্ধ বা নোংড়া পড়ে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক করতে হবে চেয়ারম্যানদের। এটা কাজ হচ্ছে কিনা আমি তার রিপোর্ট নেবো। নতুন পৌরসভাকে ভালো কাজ করে প্রমাণ করতে হবে।
৭. ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নজর রাখতে হবে কোনটা অ্যাক্সিডেন্ট স্পট। কোনটা ঝামেলার স্পট তা চিহ্নিত করুন। পুলিশ বেশি করে ঐ সব জায়গায় ভিসিট করবেন। মেমারিতে মাঝে মাঝে সমস্যা হয় সেটা দেখে রাখবেন। বালি খাদানের সমস্যার দিকে নজর রাখবেন।
সিভিল পুলিশের কাজ থেকে যে আপডেট পাওয়া যাচ্ছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। বিডিও যে আপডেট দেবে তা সঙ্গে সঙ্গে দেখে নেবেন।
৮. চুনো মাছ সংরক্ষণের বিষয়ে ভালো করে কাজ করতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে। জাল ধরো জাল ভরো তে ভালো কাজ করতে হবে।
মানুষের জন্য যা কাজ করার ভালো করে করুন। কখন কিছু কিছু মানুষ এখানে ঢুকে গিয়ে ঝামেলা করে সেটা আপনারা দেখে রাখবেন।
৯. নর্থ বেঙ্গলের সাথে সাউথ বেঙ্গলের যোগাযোগের জন্য একটা রাস্তা করা হচ্ছে। সব ডিএম কে বলা হয়েছে মানুষের সাথে কথা বলবে। এতে দূরত্ব অনেক কমে যাবে। খড়গপুর এর গুরুত্ব অনেক কমে যাবে। কন্ট্রাকটর রেডি আছে, ল্যান্ডএর কিছু ইস্যু আছে সেটা মিটে গেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ১৮টা রাস্তার মধ্যে ১৪টার কাজ হচ্ছে। আশা করি তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
১০. ছোট ছোট অনেক প্রজেক্ট আমরা শুরু করেছি। এখানে রাইস মিলের ক্লাস্টার আছে। তার যা সমস্যা ছিলো তা আমরা মিটিয়ে দিয়েছি।
১১. মিষ্টি হাব এর কাজ দ্রুত হয়ে যানে এটা আমাদের বড় গর্ব।
১২. কাজ ভালো করে করতে হবে। আজ করলাম কাজ বন্ধ করে দিলাম তা করলে হবে না। নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করতে হবে। পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর মাইক-এর মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। যাতে সচেতনতা বাড়ে।
ফাইল ছবি
Be the first to comment