করোনা ভাইরাস ক্রমশ অচল করছে স্বাভাবিক জনজীবন। মাস্ক, স্যানিটাইজারের পাশাপাশি খাবার, কাঁচামাল সরবরাহে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলেই বলছেন অনেকে, যার ফলে আতংক ছড়াচ্ছে দ্রুত। তবে এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্যানিক করতে বারণ করেন শুধু তাই নয় তাঁর বক্তব্য ‘বাজার বন্ধ হলে খাব কি?”
করোনা ভাইরাসের আবহে বেড়েছে কালোবাজারি। তৈরি হচ্ছে প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল। বন্ধ হয়েছে সীমান্ত। তবে তিনি আশা করছেন রাজ্য তাঁদের মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিস পাবেন।
এদিন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, বাজারে যারা গুজব ছড়াচ্ছেন বা ভূল তথ্য দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া, পরিস্থিতি সামাল দিতে দুইলক্ষ মাস্ক, দুই লক্ষ বিশেষ পোশাক, ১০হাজার থার্মাল স্ক্রিনিং মেশিন এবং ৩০০ ভেন্টিলেশন মেশিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে৷ এরমধ্যে ৭০টি ভেন্টিলেশন মেশিন রাজ্যে সরকারের কাছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকীগুলি এসে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
এদিন বিকেলে ওই বৈঠকে শুরুতেই রাজ্যে আইসোলেশন বেড বাডা়নোর সিদ্ধান্তের কথা৷ বেলেঘাটা আইডি-তে ২২টি থেকে বাড়িয়ে ১০০টি আইসোলেশন বেডে করা হচ্ছে বলে তিনি জানান৷ এছাড়াও বাঙ্গুরে হাসপাতাল সংলগ্ন নতুন বিল্ডিংএ ১৫০টি আইসোলেশন বেড করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ এটিকে বাঙ্গুরের মূল হাসপাতাল থেকে আলাদা করে রাখার কথা বলেছেন তিনি ৷ তাই এদের জন্য অন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে ৷
এছাড়া আরজিকরে আরও ৫০টি হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ তাছাড়াও নিউটাউন-রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসাপাতালে নতুন বিল্ডিং রয়েছে সেখানেও আরও ৫০০টি আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি ৷
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতেলের চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷ বেলেঘাটা আইডি-তে রাখা হচ্ছে কয়েকটি স্যানিটাইজ অ্যাম্বুল্যান্স৷ আইডি-তে রোগীরা এলে তাকে তৎক্ষনাৎ ভর্তির প্র্য়োজন হলে অথচ সেখানে বেড না থাকলে তখন ওই অ্যাম্বুল্যান্স করে সেখান থেকে রেফার করে অন্য হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ৷
Be the first to comment