রানি রাসমনি রোডে মুকুল রায়ের জনসভায় ব্যক্তি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন মুকুল। বললেন, রাজ্যে যখন ডেঙ্গি তখন চলচ্চিত্র উৎসবে নাচ গানে মত্ত রাজ্য সরকার। কটাক্ষ সরাসরি মমতার দিকে। বললেন, পালটে গেছেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লন্ডন যাত্রা নিয়েও সমালোচনার তীরে মুকুল রায় বিঁধলেন তার এক সময়ের দলনেত্রীকে। এরপর তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়ের প্রত্যেকটি অভযোগকে খন্ডন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে লন্ডন যাওয়ার আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাম না করে মুকুল রায়ের অভিযোগের যে কোনো সারবত্তা নেই তা বুঝিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন এক বিশেষ কাজে লন্ডনে যাচ্ছি। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাই না। হয়তো বছরে একবার যাই। কন্যাশ্রী পুরস্কার নিতে হল্যান্ড গিয়েছিলাম, না গেলে বাংলার অসম্মান হতো। বাংলায় বিনিয়োগ খুবই প্রয়োজন। বিনিয়োগ আনতে তথা শিল্প টানতেই যাই। ফিফা আন্ডার ১৭ ফুটবল ম্যাচ হলো কলকাতায়। আমরা আন্ডার ২০ করতেও রাজি।
২৮শে অক্টোবর নিবেদিতার জন্মের সার্ধশতবর্ষ ছিলো। এই উপলক্ষ্যে নিবেদিতার লন্ডনের বাড়ীতে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছলো ইংলিশ হেরিটেজ কমিটি। সেদিন আন্ডার ১৭ ফুটবল ফাইনাল থাকায় আমি যেতে পারিনি। কিন্তু তাঁরা আমাকে এতোই চায় যে ডেট চেঞ্জ করে ১২ই নভেম্বর করেছে। সিস্টার নিবেদিতা ছিলেন বাংলার জন্য নিবেদিত প্রাণ। রামকৃষ্ণ, সারদা মা, বিবেকানন্দ, নিবেদিতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লন্ডনে সিস্টারের বাড়িতে যেতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি। দার্জিলিং এ নিবেদিতার বাড়ী রায়ভিলাও আমরা সংস্কার করেছি, এটাও বাংলার গর্ব। বাংলা যদি সারা দেশে ঘুরে বেড়ায় তাহলে শুধু সংকীর্ণ রাজনীতি করে আপত্তি করতে হয় নাকি। বোঝাই যাচ্ছে মুকুলের কুৎসার যোগ্য উওর। বলেন, মনটাকে বড় করতে হয়। ক্ষুদ্র রাজনীতি করে মনকে ছোট করলে হয় না। আমাদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। ধর্ম, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সভ্যতা আমাদের ঐতিহ্য। আমরা গানমেলা করি, নাট্যমেলা করি, চলচ্চিত্র উৎসব করি। সারাক্ষণ ঝান্ডা নিয়ে জিন্দাবাদ করলে হয় না। মাথাটা ঠান্ডা রাখতে হয়। কালচার ও মানুষ্কে নিয়ে চলতে হয়।
বাংলা কখনো যেন না নেমে থাকে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সংযোজন সব কিছু করবে, চাষ করবে, শিল্প করবে, সংস্কৃতি করবে, সংহতি করবে, উৎসব করবে। যারা হিংসা করে তাদের করতে দিন।
Be the first to comment