গত ২৬ জানুয়ারি থেকে মুখ গোমড়া হয়ে ছিল পাহাড়। আবহাওয়া খারাপ থাকায় দেখা মিলছিল না সূর্যের। অবশেষে আজ সাত দিন পর মেঘের আঁচল সরিয়ে সূর্য উঁকি মারলো পাহাড়ের পাশ থেকে। পাহাড়ের মানুষ বলছেন এ যেন মিরাকেল, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আজ হেসে উঠেছে কাঞ্চনজঙ্গা। উল্লেখ্য, গতকাল পাহাড়ে পা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ১২দিন পর হঠাৎ করেই আজ অধরা সূর্যের আগমন। এখানকার মানুষের মুখে ফুটে উঠল হাসি। তাদের মতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা যেন সূর্যকে নিয়ে এসেছেন।
দীর্ঘ আট মাস এক প্রকার অচলাবস্থা কাটিয়েছে পাহাড়। সেখান থেকে একটু একটু করে ফিরছে সে। দোকানপাট যেমন শুরু হয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই আসছেন পর্যটকরাও। ফলে পাহাড়বাসির মুখেও হাসি। এদিকে পাহাড়ের রাজনৈতিক অবস্থাও ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। পাহাড়ের মূল রাজনৈতিক দল মোর্চা বুঝতে পারছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করলে আখেরে তাদের লাভ। লাভ পাহাড়বাসীরও। ফলে সরকারের বাড়িয়ে দেওয়া হাত ধরতে আর কোন কুন্ঠা নেই মোর্চার। অন্যদিকে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একহয়ে পথ চলতে চাইছে। বুধবারও মুখ্যমন্ত্রী চৌরাস্তার(দার্জিলিং ম্যাল) জনসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন উন্নয়ণের প্রশ্নে সরকার কোনভাবেই বঞ্চিত করবে না পাহাড়বাসীকে। এদিন মঞ্চ থেকে দার্জিলিং-এ বিশ্ববিদ্যালয় করার কথাও ঘোষণা করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আগামী দিনে যাতে পাহাড়ের বুকে একটা শিল্প সম্মেলন করা যায় সে বিষয়েও বিনয় তামাংকে আশ্বস্ত করেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন আবার যেন বন্ধের রাস্তায় না যায় পাহাড়। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আগমণে পাহাড় এখন আগের মত জমজমাট।
– রফিকুল জামাদার
Be the first to comment