পিয়ালি আচার্যঃ বাংলায় খেলাধুলার জগতে অনেক প্রতিভা আছে। কিন্তু সুযোগ না পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনা তাই খেলাধুলার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ক্রীড়া দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বাংলায় খেলাধুলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা যোগ্য তারা আমাদের গৌরব। তিনি ক্লাবগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ক্লাবগুলো আমাদের গর্ব। গ্রাম অথবা শহরে বাংলার প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু একসময় ক্রীড়া দপ্তরের বাজেট ছিল খুব কম। বামফ্রন্ট আমলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১১ সালে বাজেট ছিল ক্রীড়াক্ষেত্রে ৭৪ কোটি টাকা। এখন সেটা ৬ গুন বেড়ে হয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। খেলাধুলাকে এভাবেই অবহেলা করা হতো। খেলাধুলা না করলে সমাজ এগোয় না। খেলাধুলা জীবন গড়ে, যৌবন গড়ে, খেলার মাধ্যমেই আমরা পাই প্রাণের উন্মাদনা। খেলাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কৃতি খেলোয়াড়েরা রাজ্যের গৌরব, দেশের গৌরব। কিন্তু অলিম্পিক আসলে আমরা হা-হুতাশ করি। অলিম্পিকে আমাদের ব্যর্থতা আমাদের হতাশ করে। আমি প্রায় দেড় বছর দেশের ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী ছিলাম। সেইসময় অলিম্পিকে আমাদের ব্যর্থতা আমাকে নাড়া দিতো। ঐ সময় থেকে স্পোর্টস একাডেমি, স্টেডিয়াম তৈরী ইত্যাদি পরিকাঠামো গড়ার মাধ্যমে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা পাহাড়ে এবং জঙ্গলমহলে খেলাধুলার মাধ্যমে জনসংযোগের চেষ্টা করেছি। দার্জিলিং-এর তরাই ডুয়ার্স অঞ্চল থেকে শুরু করে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুলিশের উদ্যোগে হয় খেলাধুলা প্রতিযোগিতা। আ,আদের এখানে এবার অনূর্দ্ধ ১৭ এর বিশ্বকাপ হলো। সাফল্যের সাথেই আমরা এটা করেছি। আমাদের যুবভারতী স্টেডিয়াম বিশ্বের সেরা স্টেডিয়াম। ডুরান্ড কাপ এখানে করার চেষ্টা চলছে। যেকোনো ধরণের বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন প্রস্তুত। এদিন নেতাজী ইন্ডোরে উপস্থিত ক্রীড়াজগতের মানুষের সামনে বলেন, ভালো করে খেলাধুলা করুন। দেশের বাইরে খেলাধুলা করুন। বাংলা তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করুন। এরই সাথে খেলাধুলার সাথে চরিত্রের গঠনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। চরিত্র গঠনের জন্য খেলোয়াড়দের তিনি বিবেকানন্দ, নেতাজীর আদর্শ অনুসরণের কথা বলেন।
তিনি ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বলেন, একটা স্পোর্টস পলিশি বা ক্রীড়ানীতি তৈরী হোক। প্রতিভা যেন আটকে না যায়। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কথা কখনো কখনো ভাববার প্রয়োজন আছে। তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের আওতায় যেন খেলোয়াড়রা থাকেন। বামফ্রন্ট সরকারের করে যাওয়া ঋণ পরিশোধ করতে আমরা জেরবার তা সত্ত্বেও আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলোকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আবারও দৃঢ়তার সাথে তিনি বলেন, বাংলাই হবে বিশ্বের সেরা, বিশ্ববাংলা আমাদের স্বপ্ন।
Be the first to comment