রোজদিন ডেক্স: উপনির্বাচনের আগেই একাধিক কর্মসূচি নিয়ে চারদিনের জন্য উত্তর বঙ্গ সফরে বেরোচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্বাচনী প্রচারে নয়, মূলত প্রশাসনিক বৈঠক করতেই তাঁর এই উত্তরবঙ্গ সফর বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
১১ নভেম্বর বিকালে কলকাতা থেকে বাগডোগরা উড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখান থেকে সরাসরি তিনি পৌঁছে যাবেন দার্জিলিংয়ে। সেখানে রাত্রিবাস করে, পরের দিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর দুপুর তিনটে-সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি জিটিএ এবং পাহাড়ের বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জিটিএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক। একই সঙ্গে, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক হবে তাঁর।
উল্লেখ,পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে এবছর প্রথম সরস মেলা হতে চলেছে। আর ওই মেলারই বুধবার অর্থাৎ ১৩ তারিখ দার্জিলিং ম্যালের চৌরাস্তায় উদ্বোধন করার কথা তাঁর। দুদিন দার্জিলিংয়ে থাকার পর কর্মসূচি সেরে ১৪ তারিখ বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর পর ১৫ তারিখ, শুক্রবার রাজারহাটের আদিবাসী ভবনে বীরসা মুন্ডার ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। তাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছর সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে ১৫ থেকে ২১ নভেম্বর, সাতদিন ধরে রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় পালিত হবে বীরসা মুন্ডার জন্মদিন।
প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উত্তর বঙ্গ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন একাংশ। কারন, লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ে ভালো ফল করেনি তৃণমূল। তবে, দার্জিলিংয়ে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অনিত থাপার সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক বেশ ভালোই। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে থাকাকালীন উত্তরবঙ্গের দুটি বিধানসভা কেন্দ্র সিতাই ও মাদারিহাটে উপনির্বাচন। তারই মাঝে জিটিএ এবং পাহাড়ের অন্যান্য উন্নয়ন বোর্ডগুলির সঙ্গে বৈঠকে ঠিক কী কী বিষয় উঠে আসে, সেদিকে নজর থাকবে পাহাড়বাসীর।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে এলে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ভোটের প্রচারে যোগ না দিলেও উত্তরবঙ্গ সফর থেকেই দলের নেতাদের ভোট কৌশল নিয়ে নির্দেশ দিতে পারেন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Be the first to comment