সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলার জন্য চার জনের কমিটি তৈরি করল মমতার নির্দেশে সুব্রত

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি:-

সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্ব থেকে অভিষেকের দফতর সরে আসতেই, এবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা নিয়ে আরও বড় পদক্ষেপ নিল তৃণমূল সুপ্রিমো। চার জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশে তাঁরা ছাড়া আর কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবে না।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ‘মিডিয়া কমিটি’ গঠন করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। কমিটিতে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। এই চার জনের কমিটি প্রতিদিন বিষয়ভিত্তিক খসড়া তৈরি করবে। দলের অন্যান্য মুখপাত্ররা কোন অভিমুখে কথা বলবেন তা ঠিক করে দেবে এই কমিটি। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। মুখপাত্রদের নিয়ে একটি কর্মশালাও সংগঠিত হতে পারে। সংবাদমাধ্যমে আলোচনা সভায় কারা যাবেন, দলের তরফে এই কমিটি সেই সিদ্ধান্তও নেবে।
প্রসঙ্গত, আগে দলের তরফে সংবাদমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব পালন করত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর। সুত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সেই দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে এই পদক্ষেপ করেছে তারা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই বিষয়ে নেত্রী নির্দেশ দিতে চলেছেন। এ বার সেই নির্দেশ পেয়ে নতুন কমিটি গঠন করলেন সুব্রত বক্সি।
উল্লেখ্য, এতদিন জাতীয় বা রাজ্য স্তরে কোনও বড় ঘটনা ঘটলে দলের কোন মুখপাত্র প্রতিক্রিয়া দেবেন, এত দিন তা ঠিক করত অভিষেকের দফতর। তাঁর দফতরই ঠিক করে দিত, চ্যানেলে চ্যানেলে বিভিন্ন বিতর্কে কারা অংশ নেবেন। সেই প্রতিক্রিয়ায় ‘পার্টি লাইন’ কী হবে, তা-ও নির্ধারণ করে দেওয়া হত। যেমন বামেদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনও বিশেষ ঘটনায় পলিটব্যুরো থেকে এরিয়া কমিটি পর্যন্ত সকলের বয়ান একই হয়। কিন্তু ছন্দ পতন হয় আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার অভিষেকের দফতর সংবাদমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব থেকে সরে এসেছে। এরপরই তৃণমূলের অন্দরে অনেকে মনে করছেন, তবে কি আরজি কর-কাণ্ডে দলের সেনাপতি পুলিশ তথা প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট? উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে বুধবার রাতে হামলার পর অভিষেক নিজে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। দাবি জানিয়েছিলেন দল, রং না দেখে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে। বলেছিলেন, চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য। তাঁদের আন্দোলনও সঙ্গত। বলাইবাহুল্য, সংবাদমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব এবার নিজের হাতেই রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*