একদিকে দিল্লিতে কয়লা-কাণ্ডে হাজিরা দিচ্ছেন একের পর এক আইপিএস, অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের তিন আধিকারিককে একই মামলায় তলব করল সিআইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি কয়লা পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের এই তদন্তকারী সংস্থাও। সেই মামলায় ধরপাকড়ও শুরু করেছে সিআইডি। এবার ভবানী ভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল রাজ্য পুলিশের তিন আধিকারিককে।
রাজ্যল পুলিশের তিন জন ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু দাস, অনিন্দ্য দে, সুব্রত ঘোষকে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার, পরপর তিনদিন তাঁদের হাজিরা দেওয়ার কথা। সিআইডি সূত্রের খবর, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল অর্থাৎ যে সময় কয়লা পাচার হত বলে অভিযোগ, সেই সময় খনি অঞ্চলে বিভিন্ন থানায় দায়িত্বে ছিলেন এই তিন অফিসার। তাই তাঁদের সঙ্গে পাচারের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের।
সম্প্রতি কয়লা পাচারের মামলায় আব্দুল বারিক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কয়লা কেনা-বেচার অভিযোগ ওঠে। ইসিএলের যে সব কোলিয়ারি বন্ধ পড়ে রয়েছে, সেখান থেকেও কয়লা তুলে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সিআইডি আধিকারিকরা ড্রোন ফুটেজে সেই ছবি দেখতে পাওয়ার পর থেকেই খোঁজ চলছিল এই আব্দুল বারিক বিশ্বাসের। জুলাই মাসের শেষের দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ৮ আইপিএসকে কয়লা পাচারের মামলায় তলব করা হয়েছে ইডির সদর দফতরে। ইতিমধ্যেই তিন আইপিএস কোটেশ্বর রায়, শ্যাম সিং ও সেলভা মুরুগান দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে পাচারের সরাসরি যোগ থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। পুলিশ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লা পাচারের মূল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
Be the first to comment