কোল ব্লক দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইএমটিএ গোষ্ঠীর ১৩৬.৪৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এফডি, জমি। জানা গিয়েছে, সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার, জমি বাজেয়াপ্ত করে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ১৯৯৫-৯৬ সালে বাম আমলে ইএমটিএ কোল লিমিটেড সংস্থাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোল ব্লক বণ্টন করা হয়েছিল। তার তদন্ত শুরু করে সিবিআই ও ইডি। সেই সূত্রেই এবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। এ রাজ্যে ১৯৯৫-৯৬ সালে কোল ব্লক বণ্টন ঘিরে চরম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
নির্দিষ্ট করে এই ইএমটিএ কোল লিমিটেডকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে টেন্ডার ছাড়া কোল ব্লক বণ্টন করার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের তদন্তভার পড়ে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডির হাতে। সেই তদন্তের রেশ ধরেই এই বিপুল সংখ্যক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, বাম আমলে এই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আদালতে মামলা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্ত শুরু করে। এরপরই সমান্তরালভাবে তদন্তে নামে ইডি। প্রচুর টাকার নয়ছয়ের খবর রয়েছে ইডির কাছে। ইডি সূত্রে খবর, আরও বেশ কিছু সম্পত্তি ধাপে ধাপে বাজেয়াপ্ত করা হবে।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে ৬টি কোল ব্লক অবৈধভাবে বণ্টন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৩৬.৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলেও বর্তমানে তার বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই এই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এরপরই দেখা যায় প্রতি বাঁকে রয়েছে রহস্য। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নিলাম না করে কোনও সরকার ইচ্ছামতো কোল ব্লক বণ্টন করতে পারবে না। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছিল, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কয়লার যে সমস্ত ব্লক বণ্টন করা হয়েছে সেগুলি অবৈধ।
Be the first to comment