আগামী ৩০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে পারে চকলেট। কেননা, চকলেটের মূল উপাদান কোকো গাছের অস্তিত্ব নিয়েই সংকট দেখা দিতে পারে। এই নিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তাঁদের মতে, উষ্ণায়নরে প্রভাবে বদলে যাচ্ছে পরিবেশ পরিস্থিতি। বাতাসে কমছে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি। ফলে ২০৫০ সাল নাগাদ কোকো গাছ বিপন্ন উদ্ভিদের তালিকায় চলে যাবে। কোকো গাছ বেড়ে উঠতে সারা বছর প্রায় একই ধরনের তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়। পরিবেশের সামন্য হেরফের হলেই মরে যায় চারা।
তাছাড়া, কোকো বীজ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ মানুষই দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। ফলে প্রচুর পরিমাণ সার, কীটনাশক, জলের যোগানের ব্যবস্থা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে জিনের গঠন বদল দিয়ে বিজ্ঞানীরা কোকো গাছকে পরিবেশ সহশীল করার কথা ভাবছেন।
বিজনেসইনসাইডার ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খাবার ও ক্যান্ডি উৎপাদনকারী কোম্পানি মার্স এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা মিলে জিন-এডিটিং প্রযুক্তি (সিআরআইএসপিআর) ব্যবহার করে কোকো বীজকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও শুষ্ক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উপযোগী তোলার গবেষণা শুরু করেছেন।
Be the first to comment