পুরনো ভুলগুলি শুধরে খুব সামলে এগোনোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস

Spread the love
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানা– এই পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল কংগ্রেস ও বিজেপি, দু দলের কাছেই প্রেস্টিজ ইস্যু৷ আক্ষরিক অর্থেই৷ কারণ, বছর ঘুরলেই লোকভা নির্বাচন৷ মোদি-জনপ্রিয়তা ২০১৪-র মতোই অটুট, নাকি রাহুল গান্ধির উত্থানে ভাঁটা পড়েছে? বস্ত‌ুত, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড ভালোই জানে, এই ৫ রাজ্যের ভোটে খারাপ ফল করলে কর্মীদের মনোবল একেবারে ভেঙে যাবে৷ লোকসভার আগে যেটা একেবারেই কাম্য নয়৷
বিষয় হল, বেশ কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, ছত্তীসগড়ে বিজেপি-কে কড়া টক্কর দেবে কংগ্রেস৷ হার-জিতের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না৷ হয় তো কয়েকটি আসনের এ দিক ও দিক হতে পারে৷ কিন্ত‌ু ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কংগ্রেস৷ সে ক্ষেত্রে রাহুলের কর্নাটক-ফর্মুলাই হয় তো দস্তুর৷
পুরনো ভুলগুলি শুধরে খুব সামলে এগোনোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস৷ তাই ভোটগণনা থেকে শুরু করে সরকার গড়া পর্যন্ত রণনীতি কী হবে, কংগ্রেস মোটামুটি ছকে ফেলেছে বলেই খবর৷ রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় প্রচারের ফাঁকেই ছত্তীসগড়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছেন দলের সভাপতি রাহুল গান্ধি৷ গত শুক্রবার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে সেই বৈঠক৷
ছত্তীসগড়ে জেতার জন্য কংগ্রেসের প্ল‌্যান কী?
১. ৩০ নভেম্বর রাহুল বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন, গণনার দু দিন আগে থেকে ছত্তীসগড়ে সংগঠনের উপর নজর রাখতে হবে৷ যাতে সব কিছু পরিকল্পনা মোতাবেক হয়৷
২. কর্নাটক নির্বাচন থেকে শিক্ষা৷ জনমত সমীক্ষা ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট বলছে, যদি বিজেপি-র কাছাকাছিই আসন পায় কংগ্রেস, সে ক্ষেত্রে ছত্তীসগড়ে সরকার গঠন কংগ্রেসের পক্ষে একটা সহজ হবে না৷ তাই কর্নাটক নির্বাচনের মতোই ঠিক সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে নেতৃত্বকে৷
৩. রাজ্যের সব ভোটগণনা কেন্দ্রে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যথেষ্ট সংখ্যায় থাকবেন৷ তাঁরা প্রতি মুহূর্তের আপডেট দেবে হাইকম্যান্ডকে৷ জয় সুনিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে নড়তে পারবেন না৷
৪. কংগ্রেসের প্ল্যান অনুযায়ী, কংগ্রেস প্রার্থীরা জিতেই সবাই রায়পুর চলে যাবেন৷ যাতে বিধায়ক কেনা-বেচার কবলে না-পড়েন৷ সরকার গড়া পর্যন্ত জেতা বিধায়কদের রাখা হবে রায়পুরে হোটেলে৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*