গোটা রাজ্যে একদিনেই পুরভোট চাইছে কংগ্রেস-সিপিএম। তাদের দাবি, আলাদা আলাদা দিনে ভোট হলে সন্ত্রাস করার সুযোগ পাবে শাসক দল। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে তারা ৷
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা সিপিএমের শীর্ষস্থানীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমরা চাইছি, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। গত পুর এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কমিশনের নিয়ন্ত্রণে যেভাবে ভোট লুট হয়েছে তা গোটা দেশের কাছে নজির হয়ে রয়েছে। আমরা চাই, রাজ্যে পুরভোট একদিনেই হোক। একাধিক দিনে ভোট হলে গুণ্ডা-মস্তানদের এলাকা বদল করার সুযোগ দেওয়া হবে। তাঁদের দাবি, একদিনে ভোট করানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাজ্যে রয়েছে। সোমেন মিত্র ও সুজন চক্রবর্তী দুজনেই একবাক্যে জানিয়েছেন, চুপিসাড়ে মানুষের অজান্তে ভোট করানোর এই ধরনের পরিকল্পনা তাঁরা কোনওভাবেই মানবে না।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট চাইছে রাজ্য সরকার৷ আর বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন ২৬ বা ২৭ এপ্রিল করতে চাইছে তারা। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এনিয়ে কোনও ঘোষণা এখনও করেনি। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে রাজনৈতিক মহল প্রায় নিশ্চিত যে রাজ্য সরকারের নির্ধারিত দিনগুলিতেই পুরভোট করাবে কমিশন। এটা ধরে নিয়েই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তাদের অবস্থান এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে শুরু করেছে।
ভোট পিছনোর দাবি জানিয়েছে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার মুকুল রায়ের নেতৃত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দুটি বিষয় তুলে ধরেন মুকুল। তাঁর যুক্তি, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ২৪ দিন সময় থাকে। এটা কমিশনের বিধি। কিন্তু ৩০ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলে ২৪ দিন সময় দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই ১২ এপ্রিল ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। আর হাইকোর্টের নির্দেশও মাথায় রাখতে হবে। ২৪ এপ্রিলের আগে কোনওভাবেই ভোট সম্ভব নয়। এব্যাপারে তারা বাম আমলে তৃণমূলের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায়েরও উল্লেখ করেছে।
এদিকে, পুরভোট নিয়ে বাম ও কংগ্রেস শিবিরে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
Be the first to comment