শুক্রবার ১৮ মে, আবারও পথে নামতে চলেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকের ঘটনার জন্যই এই প্রতিবাদ কর্মসূচী। কংগ্রেসের দাবি ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে বিজেপি। আর তার জেরেই শুক্রবার প্রতিটি রাজ্যের রাজধানী শহর ও জেলায় জেলায় ‘গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস’পালনের ডাক দিল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসাবে ১০৪টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ২টি আসনে নির্বাচন না হওয়ায় সেরাজ্যে এখন সরকার গঠনের জন্য দরকার ১১২ জন বিধায়কের সমর্থন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৮টি আসন দূরেই থামতে হয় বিজেপিকে। উলটো দিকে সেরাজ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৭৮টি আসন। জেডিএস পেয়েছে ৩৮টি আসন। ফল ঘোষণার পরে কংগ্রেসকে সমর্থন করতে সম্মত হয় জেডিএস৷ যদিও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে বিজেপিকেই প্রথমে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল বাজুভাই বালা।
আর সেইমতোই বৃহস্পতিবার রাজভবনে সকাল ৯টা নাগাদ ইয়েদুরাপ্পাকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল। অবশেষে ফের ক্ষমতা ফিরে পেল বিজেপি৷ রাতভর নাটক চলে কর্ণাটকের রাজনীতির অন্দরে৷ বুধবার কংগ্রেসের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন জমা দেন তিনি। আবেদন নিয়ে রাতেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে পৌঁছন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার। রাত ১.৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় শুনানি। শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে হাজির ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল একে বেণুগোপাল। দু‘পক্ষের সওয়াল শোনার পর ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন প্রধান বিচারপতি। তবে ১৫ ও ১৬ মে ইয়েদুরাপ্পা সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে যে চিঠি রাজ্যপালকে দিয়েছিলেন তা জমা দিতে বলেছে আদালত। ওই চিঠির সারমর্ম খতিয়ে দেখতে চায় কোর্ট।
Be the first to comment