এই জুনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মেয়াদ। কিন্তু কংগ্রেসের এই সংকটকালে অধীরের ছেড়ে যাওয়া আসনে বসবেন কে? বেশ কয়েকটি নাম শোনা যাচ্ছে, তবে তার মধ্যে হঠাৎ ভেসে উঠল এমন এক নাম, যা জানলে অবাক হবেন অনেকেই। তিনি সোমেন মিত্র। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এই সংকটকালে তাঁর উপরই ভরসা রাখতে পারে হাইকমান্ড।
রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর বেশ কয়েকটি প্রদেশেই সভাপতি বদল হতে চলেছে। এ রাজ্যে সেই সম্ভাবনা কম ছিল। কারণ রাহুলের প্রিয়পাত্র বর্তমান প্রদেশ সভাপতি অধীর। তার উপর অধীর লড়াকু নেতাও। তাঁকে যথেষ্ট ভরসাও করতেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সমস্যা অধীর অসম্ভব মমতা-বিরোধী। লোকসভার প্রাক্কালে যখন বিরোধী ঐক্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে, তখন রাজ্যে অধীরের দায়িত্বে থাকা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোটের অন্তরায় তৈরি হওয়া।
তার উপর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই বাংলায় কংগ্রেসকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী চাইছেন, এমন একজনকে দায়িত্ব দিতে, যাঁর নেতৃত্বে উজ্জীবিত হতে পারে কংগ্রেস। অধীরের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সিরা লাইনে থাকলেও, তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেসকে দলের মত, বিজেপির আগ্রাসন রুখতে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে হবে। সেই শক্তিশালী কংগ্রেসকে পেতে গেলে যোগ্য এমন একজনের হাতে দায়িত্বভার তুলে দিতে হবে, যিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পটু। আর এই কাজে সোমেন মিত্রকেই তাঁরা যোগ্যতর মনে করছেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে সোমেন মিত্র থাকাকালীনই এককভাবে সবথেকে ভালো ফল করেছিল কংগ্রেস। তারপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আর একবার তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টা করতে চাইছে কংগ্রেস।
Be the first to comment