বিশেষ প্রতিনিধি,
যবনিকা পতন৷ কর্ণাটক বিজেপির হাতছাড়া৷ নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে ইস্তফা দিলেন কর্ণাটকের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা৷ একক বৃহত্তম দল হিসেবে ভোটে আত্মপ্রকাশ করলেও বিজেপির কাছে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছনোর মতো বিধায়ক সংখ্যা ছিলনা৷ বিধানসভায় তিনি বিদায়ী ভাষণে জানান, আমার সরকার পরবর্তী নির্বাচনে আরও ভালো ফল করে ক্ষমতায় আসবে৷ বিদায়ী ভাষণে তিনি জানান,‘গণতন্ত্রের উপর ভরসা আছে৷ ৫ বছর পর আবার ফিরব৷ তার আগেও ভোট হতে পারে’৷ ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ ইয়েদুরাপ্পা জানান,‘নিজের জীবন দিয়ে কর্ণাটকের জন্য কাজ করব৷ আমার শেষ কর্পদক দিয়ে কর্ণাটককে রক্ষা করবে৷ আমি, আমাদের দল বড়সড় অগ্নিপরীক্ষার মুখে৷ এই পরীক্ষায় আমরা জিতবই’৷
এদিকে ভোটের চাল উলটোতেই জোটের খেলা শুরু৷ বিজেপি সরকার সরে যেতেই কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসতে চলেছে জেডিএস-কংগ্রেস জোট৷ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামী৷ এবার বেশ কিছুটা স্বস্তিতে রাহুল গান্ধী৷ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা৷ তবে ফিরে আসার বার্তা দিয়ে এদিন তিনি বলেন কর্ণাটকের মানুষ বিজেপিকে বেছেছিল৷ তবে পরিস্থিতির চাপে বিজেপি সরতে বাধ্য হচ্ছে৷ মানুষ যে তাদেরই ভালবেসেছেন, তার প্রমাণ ভোটবাক্সেই মিলেছে বলে এদিন দাবি করেছেন তিনি৷ আস্থা ভোটের সময় থেকেই পাশার দান উলটোতে থাকে৷ সময় যত গড়ায়, তত কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে, বিজেপি শিবিরে বাড়ে চাপ৷ আস্থাভোট শুরু হওয়ার কিছু আগেই খোঁজ মেলে নিখোঁজ দুই কংগ্রেস বিধায়কের৷ তারপরেই বদলে যায় যাবতীয় সমীকরণ৷
Be the first to comment