সিপিএম না তৃণমূল, দ্বিধা বিভক্ত কংগ্রেস!

Spread the love
কংগ্রেসের হাত ধরার প্রশ্নে তুলকালাম বেঁধেছিল সিপিএম-এর পার্টি কংগ্রেসে। আর এবার কংগ্রেস পার্টি জেরবার সিপিএম না তৃণমূল এই দ্বন্দ্বে। পশ্চিমবঙ্গে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি কার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলবে, দ্বন্দ্ব মূলত এই নিয়েই। ইতিমধ্যে এই প্রশ্নে কার্যত দুভাগ হয়ে গিয়েছে সিআইটি রোডের বিধান ভবন। পরিস্থিতি এমনই যে শুক্রবার দিল্লিতে দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও সাক্ষী থাকতে হল এই মতপার্থক্যের।
কংগ্রেসের হাত ধরার প্রশ্নে তুলকালাম বেঁধেছিল সিপিএম-এর পার্টি কংগ্রেসে। আর এবার কংগ্রেস পার্টি জেরবার সিপিএম না তৃণমূল এই দ্বন্দ্বে। পশ্চিমবঙ্গে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি কার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলবে, দ্বন্দ্ব মূলত এই নিয়েই। ইতিমধ্যে এই প্রশ্নে কার্যত দুভাগ হয়ে গিয়েছে সিআইটি রোডের বিধান ভবন। পরিস্থিতি এমনই যে শুক্রবার দিল্লিতে দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও সাক্ষী থাকতে হল এই মতপার্থক্যের।
গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসের সাবেক ‘ওয়ার রুম’-এ প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকের পরও সিপিএম না তৃণমূল, এই প্রশ্নের কোনও মীমাংসা হয়নি। কংগ্রেস সংস্কৃতি মেনে এ বিষয়ে যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাই কম্যান্ডই, বৈঠক মিটতেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া নেতা সোমেন মিত্র। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সংগঠনের অবস্থা শোচনীয় হলেও তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে ভোটে লড়লে যে রাজ্যে কংগ্রেসকে আর টিকিয়েই রাখা যাবে না, ‘রাহুলজি’কে তাও জানিয়ে দিয়েছেন শিয়ালদার ‘ছোড়দা’। তৃণমূল বিরোধিতার লাইনে এদিন একসুর শোনা গিয়েছে অধীর চৌধুরী, সোমেন মিত্র, আবদুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সিদের গলায়। তাত্পর্যপূর্ণভাবে এদিন অধীর রঞ্জন বলেছেন, “তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলালে যদি আর একজনও দল ছেড়ে যায়, তাহলে আর আমাকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করবেন না”।
অন্যদিকে, মইনুল হকের মতো নেতা আবার তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন রাহুলের সামনে। মইনুলের দাবি, ২০১৬ নির্বাচনের আগে তিনিও সিপিএম-এর সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু, জোট করে কোনও লাভই হয়নি কংগ্রেসের। বরং, সিপিএম-এর বিরুদ্ধে তাঁকে লড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ মইনুলের। তাই তিনি এদিন বলেছেন, রাজ্যে সিপিএম-এর সঙ্গে ফের জোট করা কংগ্রেসের জন্য আত্মহত্যার সামিল। এখানেই না থেমে তাত্পর্যপূর্ণভাবে মইনুল জানিয়েছেন, এরপরও দল যদি সিপিএম-এর সঙ্গে জোট করে, সেক্ষেত্রে তিনি আদৌ আর দলে থাকবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। শুধু মইনুল নন, আবু হাসেমখান চৌধুরি এবং মৌসম বেনজির নুরের মতো কংগ্রেস নেতারাও রয়েছেন তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষেই। উল্লেখ্য, এদিন বৈঠকে অসুস্থতার কারণে উপস্থিত ছিলেন না মৌসম নূর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*