অ-গান্ধী সভাপতি নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ

Spread the love

সোমবার, বিকেল ৪টেয় শেষ হল কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব। দলের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে দলের সভাপতি নির্ধারণ করা হচ্ছে। ৯,৮৫০ জন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি নিয়ে ছিল কংগ্রেসের ইলেক্টোরাল কলেজ। তবে, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি জানিয়েছেন, এদিন ভোট দিয়েছেন বৈধ ভোটারদের ৯৬ শতাংশ। আর বাংলায় ভোট পড়েছে ৮৮ শতাংশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটদান পর্বে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ৮৭ জন প্রতিনিধি নয়া দিল্লিতে এআইসিসির সদর দফতরে নিজেদের মতদান করেছেন। আর রাহুল গান্ধী-সহ ৫০ জন ভোট দিয়েছেন কর্নাটকের ভারত জোড়ো যাত্রা শিবিরে।

এদিন, এআইসিসির সদর দফতরেই ভোট দেন সনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। ভোটদানের পর দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমি এর (সভাপতি নির্বাচনের) অপেক্ষায় ছিলাম।” এআইসিসির সদর দফতরেই ভোট দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বেঙ্গালুরুতে ভোট দেন সভাপতি পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গে। শশী থারুর ভোট দেন কেরলের তিরুবনন্তপুরমে। আর রাহুল গান্ধীকে দেখা যায় ভারত জোড়ো যাত্রার শিবিরে তৈরি হওয়া বুথের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে।

ভোট দান পর্ব মেটার পর, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি বলেছেন, “কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ হয়েছে।” নির্বাচনের পর শশী থারুর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সবাইকে আমার ধন্যবাদ। আজ সারা দেশে কংগ্রেস সহকর্মী, প্রতিনিধি যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার, প্রচার করার, স্বপ্ন দেখার এবং ভোট দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, এটা আপনাদের বিজয়! জয় হিন্দ, জয় কংগ্রেস!”

দীর্ঘ ২২ বছর পর কংগ্রেস সভাপতি নির্ধারণের জন্য ভোটাভুটি হল। শেষবার, সনিয়া গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন জীতেন্দ্র প্রসাদ। তবে, বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে আর নির্বাচন হয়নি। সনিয়া গান্ধীর পর সর্বসম্মতভাবে সভাপতি হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি পদ ছেড়ে দেওয়ার পর, ২০১৯ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী হিসেবে ফের সনিয়া দায়িত্ব নিয়েছেন।

সব মিলিয়ে, ২৪ বছর পর সভাপতির দৌড়ে নেই গান্ধী পরিবারের কারোর নাম। অ-গান্ধী সভাপতি হলেও, দলের নিয়ন্ত্রণ গান্ধী পরিবারের হাতেই থাকবে বলে একযোগে জানিয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতারা। সোমবার একাধিক কং নেতারা জানিয়েছেন, আগামী দিনেও গান্ধী পরিবারের নির্দেশনা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আগামী দিনেও পার্টিতে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। বকলমে, মল্লিকার্জুন খাড়্গেই গান্ধী পরিবারের অঘোষিত প্রার্থী বলে মনে করা হচ্ছে। খাড়্গে জিতবেন, না কি ‘পরিবর্তনের প্রার্থী’ হিসেবে নিজেকে দাবি করা শশী থারুরের উপর ভরসা রাখবেন দলের প্রতিনিধিরা, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই দিনই ভোট গণনা করা হবে এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*