ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে দারুণ চাপে কংগ্রেস। বুধবার দিল্লির হেরাল্ড হাউসে ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডে’র কার্যালয় সিল করে দেয় ইডি। বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাড়ির বাইরে। কংগ্রেসের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হতে পারে, এই আশঙ্কায় কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরেও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
এদিকে, দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার মুখে এত সংখ্যক পুলিশের মুখোমুখি হওয়া ও কার্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস কর্মীরা। তাদের দাবি, প্রতিহিংসার রাজনীতি এটি। কংগ্রেসের কার্যালয়ের যাওয়ার পথ আটকানো আর ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়, বরং নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জুলাই মাসেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে দফায় দফায় জেরা করে ইডি। রাহুল গান্ধীকে ৫দিনে মোট ৫৫ ঘণ্টা এবং সনিয়া গান্ধীকে ৩দিন মিলিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয়। এরপরই মঙ্গলবার ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তার পরদিনই, বুধবার দিল্লির হেরাল্ড হাউসে ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডে’র কার্যালয় সিল করে দিল ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগে থেকে অনুমতি ছাড়া ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডে’র কার্যালয়টি খোলা যাবে না।
সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বিনা কারণে পুলিশ মোতায়েন করার বিষয়টি তারা সংসদে তুলবেন।
বুধবার ন্যাশনাল হেরাল্ডের কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার পরই কংগ্রেসের তরফে টুইট করে লেখা হয়, সত্যের কন্ঠ পুলিশি পাহারা থেকে ভয় পাবে না। গান্ধীজীর অনুগামীরা এই আঁধারের বিরুদ্ধে লড়াই করে অবশ্যই জিতবে। ন্যাশনাল হেরাল্ডর অফিস সিল করে, কংগ্রেসের কার্যালয়ের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করে আসলে শাসকের ভয়কেই দেখাচ্ছে। তবে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে আমরা ফের প্রশ্ন করব।
Be the first to comment