নিষেধাজ্ঞাকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়েই বিক্ষোভ বিরোধীদের, দুপুর অবধি মুলতুবি লোকসভা ও রাজ্যসভা

Spread the love

সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারই দুপুর দুটো অবধি মুলতুবি হয়ে গেলো লোকসভা ও রাজ্যসভা।এদিন সকালে সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধীরা বিক্ষোভ শুরু করে। সংসদে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, এদিন বিরোধীরা প্ল্য়াকার্ড হাতে নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। মূলত মূল্যবৃদ্ধি ও প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের উপরে জিএসটি বসানো নিয়েই বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা। কংগ্রেস থেকে শুরু করে শিবসেনা, টিআরএস- সবকটি দলই ধর্নার উপরে নিষেধাজ্ঞার নিয়ম অমান্য করে বিক্ষোভ দেখায়।

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। গতকাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটপর্ব থাকায় লোকসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হলেও, নতুন সাংসদদের শপথ পাঠের পরই বিরোধীরা মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে, প্রথম দিনের অধিবেশন স্থগিত রাখতে হয়। এদিন সকালে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। কংগ্রেস, টিআরএস, শিবসেনা, আম আদমি পার্টি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়। রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলি মূল্য়বৃদ্ধি ও প্য়াকেটজাত খাদ্য়পণ্যের উপরে জিএসটি বসানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় বসতে রাজি নয়, এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

এদিন কংগ্রেসের তরফে সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী। মুদ্রাস্ফীতি, চাল-ডাল থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের মতো অত্যাবশ্যকীয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে। রাজ্য়সভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আজ বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়ে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, জিএসটির হার বাড়ানো ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উপরে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”

অন্যদিকে, লোকসভাতেও বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভ ও প্ল্যাকার্ড দেখানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। এবারের বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদীয় কমিটির তরফে জানানো হয়েছিল যে, সংসদের ভিতরে বা বাইরে ধর্নায় বসা যাবে না। কোনও ধরনের পোস্টার বা প্ল্য়াকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। তবে এদিন বিরোধী দলের সাংসদরা সেই নিয়মকে অমান্য করেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা একাধিকবার বিরোধী দলের সাংসদদের শান্ত হতে বলার অনুরোধ করলেও, তারা বিক্ষোভ জারি রাখেন। বাধ্য হয়েই দুপুর দুটো অবধি অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়।

মূল্যবৃদ্ধি-মুদ্রাস্ফীতি ছাড়াও আম আদমি পার্টির তরফে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয় দলের সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সিঙ্গাপুর সফরের অনুমতি নিয়ে টালবাহানার বিরোধিতা করে। কংগ্রেসের পাশাপাশি  তারাও গান্ধীমূর্তির পাদদেশেই বিক্ষোভ দেখান। টিআরএসও প্ল্য়াকার্ড নিয়ে গান্ধীমূর্তির নীচে বিক্ষোভ দেখায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*