বৃহস্পতিবারও বাংলায় পেট্রলের দাম ছিল ৮২ টাকা ৩১ পয়সা। যা শুধু বেশি নয়, অস্বাভাবিক রকমের চড়া! পেট্রোপণ্যের এ হেন মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যখন গোটা দেশে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তখন প্রতিবাদে ভারত বনধের ডাক দিল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের দুই বর্ষীয়ান নেতা আহমেদ পটেল ও অশোক গহলৌত। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত বলেন, পেট্রল, ডিজেল রান্নার গ্যাসের দাম অসহনীয় হয়ে গিয়েছে। অথচ এত দাম হওয়ার কথা নয়। কেন্দ্রে ইউপিএ জমানায় যখন অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ১১০ ডলার ছিল, তখনও পেট্রল, ডিজেলের দাম এত চড়া ছিল না। এখন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭৭ ডলার। ফলে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
আহমেদ পটেল ও গহলৌত বলেন, অপরিশোধিত তেলের দাম আগের জমানার তুলনায় কম হলেও সেই সুবিধা সাধারণ মানুষকে দেয়নি মোদী সরকার। বদলে ১১ লক্ষ কোটি টাকা বাড়তি কামিয়েছে। সেই লুঠের হিসাব দিতে হবে মোদী। এ কথা বলেই ১০ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক দেন কংগ্রেস নেতারা। সেই সঙ্গে জানান, বনধে সমর্থন জানানোর ব্যাপারে তাঁরা মোদী বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানাবেন।
এমনিতে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসও সরব। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে টুইট করে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন। প্রশ্ন হল, তৃণমূল কি বনধে সমর্থন জানাবে? এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের মুখপাত্ররা বলেন, নেত্রী নিশ্চয়ই বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে ঘরোয়া মহলে দলের নেতারা বলেন, তৃণমূল ঘোষিত ভাবে বনধ ও ধর্মঘটের বিরুদ্ধে। এটা ঠিক যে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু বনধ ছাড়াও প্রতিবাদ জানানোর উপায় রয়েছে। নেত্রীও হয়তো সে কথাই বলবেন।
Be the first to comment