ভারভারা রাও ও আরও চার সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা নিয়ে যখন দেশ জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তখন তার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল ল কমিশনের এক কনসাল্টিং পেপার। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী বলা যাবে না। এমনকী দেশদ্রোহিতার সংজ্ঞাও নতুন করে নির্ধারণ করতে চায় ল কমিশন।
কনসালটেশন পেপারে বলা হয়েছে, কেউ সামগ্রিকভাবে সরকারের অথবা সরকারের কোনও নীতির সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী বলা যায় না। দেশে যদি ইতিবাচক সমালোচনার অধিকার না দেওয়া হয়, তাহলে পরাধীন ভারতের সঙ্গে বর্তমান ভারতের খুব সামান্যই তফাৎ থাকবে। কেউ যদি অতীতের কোনও ঘটনার সমালোচনা করে, তার কথায় যদি কেউ অসন্তুষ্ট হয়, তা হলেও তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। কারণ তার বাকস্বাধীনতা আছে। যদি কেউ সশস্ত্র পথে সরকারকে উৎখাত করার জন্য উস্কানি দেয়, তখনই দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা যাবে।
ল কমিশন উল্লেখ করেছে, ব্রিটেন ১০ বছর আগেই দেশদ্রোহিতা সংক্রান্ত আইন বাতিল করে দিয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানেও বাক স্বাধীনতা নিয়ে সরকার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিদ্বজ্জন, ছাত্র সবার মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত। তবেই সময়োপযোগী নীতি নির্ধারণ করা যাবে।
Be the first to comment