রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শহরে ফের বিজেপির জোর ধাক্কা। কাঁথিতে পুরসভার পর এবার সমবায় সমিতির নির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়ল পদ্ম শিবির। কাঁথি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মপুখুরিয়া পদ্মশ্রী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে খাতা খুলতেই ব্যর্থ বিজেপি।
শনিবার সমিতির ৯টি ডিরেক্টরের পদের জন্যে ভোটগ্রহণ হয়। মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৬৮১। ভোট পড়েছে ৬৩৪টি। তৃণমূল সমর্থিত অফিসিয়াল প্যানেলের সঙ্গে বিজেপির সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। সেখানে বিজেপি খাতাই খুলতে পারেনি।
অফিসিয়াল প্যানেলে প্রাক্তন সভাপতি দীপক দাস ও সম্পাদক অশোককুমার প্রধান ছাড়া বাকি ৭ জনই নতুন মুখ। তাঁরা হলেন বিকাশচন্দ্র বেরা, প্রভাতকুমার মানিক, সুপ্রভাত জানা, তপনকুমার মহাপাত্র, রিনা মানিক, সুমিতা গিরি, তপন বর। অশোকবাবু প্যানেলে সর্বোচ্চ ৩১৬ ভোট পেয়েছেন। জয়ীদের শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক, এগরার বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি, কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্না প্রমুখ।
কয়েকমাস আগে কাঁথি পুরসভা নির্বাচনে ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ওয়ার্ডে বিজেপি জিতেছিল। তারমধ্যে ছিল ১৮ নম্বর ওয়ার্ড পদ্মপুখুরিয়া। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক সভায় এই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল হিসাবে তুলে ধরার বার্তা দেন। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশীল দাসকে কাঁথি নগর মণ্ডলের সভাপতিও করা হয়। কিন্তু তারপরেও এই হারে বিজেপির প্রতি যে মানুষের আস্থা নেই তা প্রমাণিত হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর উত্তম মহাপাত্র বলেন, ‘‘বিজেপির মডেল ওয়ার্ডের তকমা কয়েকমাসেই খারিজ করে দিল এলাকার মানুষ। মানুষ আর বিজেপিকে কোনওভাবেই চাইছে না। সোটা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।” যদিও বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জোলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত জানান, “সমবায় নির্বাচন রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করার জায়গা নয়।”
Be the first to comment