কোচবিহার কলেজে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মুন্না খানকে আটক করল পুলিশ। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ কোচবিহার থানার পুলিশ তাকে আটক করে। মুন্না উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক মাজিদ আনসারি। ১৩ জুলাই কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোচবিহার শহরের স্টেশন চৌপথি এলাকায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। মাজিদকে উদ্ধার করে প্রথমে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শিলিগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। এদিকে তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় মুন্না খান সহ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজনের। গতকাল মুন্নার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
এরপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে পড়ুয়ারা গতকাল কলেজের সামনে গণ আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দেয়। এক ছাত্রী ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে ফেলে। ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য, যতক্ষণ না পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
এদিকে এই ঘটনার বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল থেকে কোচবিহারে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্ররা। তার মধ্যেই গতকাল রাতে মুন্নাকে আটক করে পুলিশ। তাকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। সাধারণ ধর্মঘটের জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই কোচবিহারে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দোকানও খোলেনি।
Be the first to comment