অ্যাপ ডাউনলোড। এই অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার দিতে হবে। ক্রেতাদের বাড়িতে সামগ্রী পৌঁছতে ২০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পরিষেবা। কোচবিহারের ২০টি ওয়ার্ডে পরিষেবা। কোচবিহারে অনলাইন সমবায়িকা পরিষেবা শুরু হওয়ায় স্থানীয়রাও খুশি। সময় বাঁচায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তাঁরা। কোচবিহার শহরের লক্ষাধিক বাসিন্দার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে সমবায়িকার সামগ্রী। ব্যাগ ভরতি করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরিশ্রমও কমেছে। এখন এক ক্লিকেই অনেক সামগ্রী কিনছেন মানুষ।
সময় বাঁচাতে এখন কমবেশি সবাই অনলাইনে কেনাকাটায় ঝুঁকেছেন। জামা-কাপড় হোক বা খাবার। এমনকী নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই পেয়ে যান মানুষ। অনলাইনে কেনাবেচার বাজার ধরতে কোচবিহার সমবায়িকাও হেঁটেছে সেই পথেই। আপাতত কোচবিহারের কুড়িটি ওয়ার্ডে এই পরিষেবা মিলছে। কোচবিহার শহরের সুনীতি রোডে সমবায়িকার ভবন রয়েছে। মুদি বা রান্নার সামগ্রী, প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিস ন্যায্য দামে এখান থেকে কিনতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সমবায়িকায় গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে ভিড় জমে ভালই।
কিন্তু বাড়ি বসেই যদি পাওয়া যায় সমবায়িকার সামগ্রী? তাহলে বাসিন্দাদের সময় ও পরিশ্রম দু’ই-ই বাঁচে। এখন সমস্ত জিনিসই যেখানে অনলাইনে পাওয়া যায়, সেখানে কোচবিহার সমবায়িকাই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? বাসিন্দাদের সুবিধা দিতে ও অনলাইন কেনাবেচার বাজার ধরতে তাই সমবায়িকাও নতুন রাস্তায় হাঁটা শুরু করেছে। অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে এই সমবায়িকা থেকে কেনাকাটা করা যাবে নিমেষেই। মুঠোফোনে একটি অ্যাপে ক্লিক করেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে প্রয়োজন বা পছন্দের জিনিস। সম্প্রতি এই পরিষেবার উদ্বোধন করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
Be the first to comment