বাংলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৩৯৷ এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের৷ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪০৪ জন৷ এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১১ হাজারের বেশি৷ রবিবার,রাজ্য সরকারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৪০৪ জন৷
ফলে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১,১৯৩ জন৷ যা শতাংশের হিসেবে ৬৪.৭৬ শতাংশ৷ অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৫১ জন৷ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭২ জন৷ ফলে এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭,২৮৩ জন৷
গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ জনের৷ এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩৬ জনে৷ যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে কলকাতারই ৭ জন৷ হাওড়ার ১ জন৷ পূর্ব বর্ধমান ১ জন৷ মুর্শিদাবাদে ১ জন৷ বাংলায় নতুন করে ১০,৫৬৩ টি টেস্ট হয়েছে৷ ফলে এই পর্যন্ত মোট টেস্ট হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯০৬ জনের৷ প্রতি মিলিয়নে টেস্ট ৫২১০ জন৷ যা শতাংশের হিসেবে ৩.৬৯ শতাংশ৷
এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৫১টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ৩টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷ বাংলায় ৭৮ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সরকারি ২৫ টি হাসপাতাল ও ৫৩ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷
হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৯৪৮টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৩৯৫টি৷ কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি৷ এই পর্যন্ত শুধু কলকাতায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬৬ জন৷ মোট আক্রান্ত ৫,৫৭৩ জন৷ এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় শহরে আক্রান্ত ১৭১ জন৷ নতুন করে ছাড়া পেয়েছেন ১৪৭ জন৷ ফলে কলকাতায় মোট ছাড়া পেলেন ৩২৭০ জন৷ অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৩৭ জন৷
অন্যদিকে, কোনও মতেই রোখা যায়নি করোনাকে। দেশে সমস্ত অতীত রেকর্ড ভেঙে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শনিবারেও রেকর্ড হারে সংক্রমণ দেশে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে আক্রান্ত ১৯ হাজার ৯০৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১০ জনের। নতুন করে সংক্রমণের জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২৮ হাজারের থেকেও কিছুটা বেশি। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার মানুষ। অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ২ লক্ষ ৩ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৯৫ জনের।
এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গ্রুপ অফ মিনিস্টারদের (জিওএম) বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে দেশের আটটি রাজ্যেই মোট করোনা আক্রান্তের ৮৫ শতাংশ রয়েছে।
Be the first to comment