গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বেড়েছে দেশের ন’টি রাজ্যে। তাদের অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। শুক্রবার বিকালের হিসাবমতো রাজ্যে ২২১৬ জন ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অপর যে রাজ্যগুলিতে ব্যাপক হারে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে আছে তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অসম।
কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, এই রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে টেস্ট বাড়াতে হবে। কনটেনমেন্ট প্ল্যান কার্যকর করতে হবে কড়া হাতে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াতে হবে। কার্যকরী ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট চালু করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জানিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে যৌথভাবে তারা কোভিড ম্যানেজমেন্ট করেছে। এর ফলে আরও বেশি মানুষ করোনা থেকে সেরে উঠছেন। মৃত্যুর হার ক্রমশ কমছে। এরপরেই সরকার বলেছে, সাম্প্রতিক অতীতে ন’টি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়েছে।
ওই রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব। ঠিক কী কারণে ওই রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে, করোনা প্রতিরোধ করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তিনি খতিয়ে দেখেছেন। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার ‘টেস্ট ট্র্যাক ট্রিট’ স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করছে। অর্থাৎ টেস্ট করে করোনা পজিটিভ ব্যক্তিকে খুঁজে বার করতে হবে ও তার চিকিৎসা করতে হবে।
রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষত কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে বেশি টেস্টিং করতে হবে। কয়েকটি রাজ্যে টেস্টিং কম হচ্ছে। এদিন সেকথাও উল্লেখ করেন মন্ত্রিসভার সচিব। তিনি বলেন, যথাসম্ভব বেশি টেস্টিং করলে আগে রোগ ধরা পড়বে। তাহলে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে।
রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে যাতে উপযুক্ত সংখ্যক বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ভেন্টিলেটর থাকে সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। রোগী যাতে অ্যাম্বুলেন্স পায় এবং হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরানো না হয়, সেদিকেও জোর দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রীসভার সচিব জোর দিয়ে বলেছেন, মৃত্যুহার কমাতে হবে। সেজন্য বয়স্ক মানুষ ও যাঁদের কো-মরবিডিটি আছে, তাঁদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
Be the first to comment