গোটা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ অবশ্য আটকে ছিল ১০ জন আক্রান্তের সংখ্যাতেই। কিন্তু মুহূর্তেই সেই সংখ্যাটা বেড়ে হল ১৫! একই পরিবারের ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ওই আক্রান্ত পরিবারের মধ্যে ৯ মাস, ৬ বছরের দুই শিশুও রয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ১৬ মার্চ ইউকে ফেরত এক ব্যক্তির সংসর্গে আসেন আক্রান্তরা। ওই দুই শিশু ছাড়াও ১১ বছরের এক বালক, ২৭ বছরের এক তরুণী ও ৪৫ বছরের এক মহিলা রয়েছেন। তেহট্টের একটি বিয়ে বাড়িতে বিদেশ থেকে আগত কারও সংস্পর্শেই ওই পরিবার আক্রান্ত বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে দিল্লি, উত্তরাখণ্ড থেকেও অনেকে এসেছিলেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই পাঁচ জনের প্রথম পরীক্ষাতে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরে আবার তাঁদের টেস্ট করা হয়। সেখানেও পজিটিভ রিপোর্টই মেলে। এদিন, ৬১ জনের টেস্ট করা হলেও ৫৬ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু এই পরিবারের ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই পরিবারের আরও ২০ জনকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। তাঁদেরও টেস্ট করা হবে।
এদিকে, ভারতে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মোট ৮৬৮ জন কোরোনাভাইরাস রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এর মধ্যে ৬৪০ জনের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে এবং ৬৬ জন সম্পূর্ণ সুস্থ। ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ক্রমেই খারাপ হচ্ছে নয়াবাদের করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের শারীরিক অবস্থা। পিয়ারলেস হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসকরা তাঁর ওষুধ পালটে দিচ্ছেন। বাড়ানো হয়েছে তাঁর ভেন্টিলেশনের মাত্রা। কিন্তু, আপাতত তাঁকে স্থিতিশীল করতেই প্রাণপাত করছেন চিকিৎসকরা।
ওই করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের পরিবারের বাকি চার সদস্যকে আগে হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও শুক্রবার তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। চারজনেরই সোয়াব সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
Be the first to comment