ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত আরও এক। মারণ ভাইরাসের শিকার হলেন এক চিকিৎসকের জামাইবাবু। আজ মঙ্গলবার রাতে ওই চিকিৎসকের জামাইবাবুর করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে নতুন করে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, আক্রান্তের বাড়ি এগরা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। সম্প্রতি ওই চিকিৎসকের পরিবারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। তারপরই ওই চিকিৎসকের পিসি এবং স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে তাঁরা বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি রয়েছেন। এরপর গত সোমবার ওই বাড়ির দুই পরিচারিকা, কেয়ারটেকার এবং চিকিৎসকের জামাইবাবুর নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার তার মধ্যে একজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা গিয়েছে, সেদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নয়াবাদের আক্রান্ত প্রৌঢ়ও। পূর্ব মেদিনীপুরে এই নিয়ে মোট তিনজন করোনায় আক্রান্ত হলেন। নয়াবাদের ওই বৃদ্ধাকে নিলে ওই বিয়ে বাড়ি থেকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ছয়। ইতিমধ্যে ওই বিয়ে বাড়িতে থাকা একাধিক নিমন্ত্রিত ব্যক্তির শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে দমদমের আইএলএসে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ৫৫ এর এক মহিলা। সম্প্রতি তাঁর লালরসের পরীক্ষা করা হয়। আজ মঙ্গলবার রাতে রিপোর্ট আসে তাঁর। যেখানে করোনার উল্লেখ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইতালির মিলান থেকে ফেরেন এই মহিলা। প্রায় একমাস বাড়িতেই ছিলেন। গত ২০ মার্চ জ্বর আসে তাঁর। সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়। ক্রমশ অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এরপর গত ২৮ তারিখ তাঁকে ভর্তি করা হয় দমদমের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে আইসোলেশনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। জানা যাচ্ছে এদিন তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। সবথেকে বড় এটাই যে এই মুহূর্তে মহিলার স্বামীও হাসপাতালে ভর্তি। যদিও তাঁর এখনও করোনা সন্দেহ করা হলেও রিপোর্ট আসেনি। পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছে স্বাস্থ্যদফতর। বাড়িতে থাকাকালীন এই মহিলা কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে বা করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই এলাকায় আর কারোর শরীরে কোনও উপসর্গ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment