করোনা আক্রান্ত তিনদিনের সন্তান ও স্ত্রী, হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন যুবক

Spread the love

স্ত্রী ও তিনদিনের সন্তান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আর সেজন্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের এক যুবক। পরিবারকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের চেম্বুরের বাসিন্দা ওই যুবক গত সপ্তাহে নিজের গর্ভবতী স্ত্রীকে স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই সন্তান প্রসব করেন ওই যুবতী। প্রথমে মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ ছিল। তাঁদের একটি ঘরে রাখা হয়েছিল। কয়েক দিন পরে সেই ঘরেই আর এক রোগীকে রাখা হয়। যুবকের অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে তাঁকে জানানো হয়নি, ওই রোগী করোনা আক্রান্ত ছিলেন।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ওই যুবক। সেখানে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী ও তিনদিনের সন্তান করোনা আক্রান্ত। তাদের সঙ্গে একই ঘরে এক করোনা আক্রান্ত রোগীকে রাখা হয়েছিল। আমাদের একথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়নি। কয়েক দিন পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, আমাদের ওই ঘর ছেড়ে দিতে হবে। কারণ সেখানে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তাই ডাক্তার ও নার্সরা আমার স্ত্রী ও সন্তানকে দেখতে পারছেন না। এই অবস্থায় বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নাকি আমাদের ওই ঘর ছেড়ে দিতে বলেছে।”

যুবকের অভিযোগ, তিনি অনেকবার তাঁর স্ত্রী ও সন্ত্রানকে দেখার জন্য ডাক্তারদের হাতে-পায়ে ধরেছেন। কিন্তু কোভিড-১৯ পরীক্ষার রেজাল্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা দেখতে যাননি। যুবক বলেন, “আমি নিজের পকেট থেকে ১৩৫০০ টাকা দিয়ে আমাদের তিনজনের করোনা পরীক্ষা করাই। আমি ডাক্তারদের বলি, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালেই থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু আমাদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়। আমার কাছে থেকে বিলের টাকা নিয়ে আমাদের বের করে দেওয়া হয়।”

বর্তমানে কস্তুরবা হাসপাতালে ওই যুবকের স্ত্রী ও সন্তানকে রাখা হয়েছে। সেখানে ভালমতো চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই যুবক। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি খালি চাই আমার স্ত্রী ও সন্তান ভাল চিকিৎসা পাক। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমার স্ত্রী ও সন্তানের দিকে একটু নজর দিন।” সেইসঙ্গে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যুবক বলেন, “আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা যেন অন্য কারও সঙ্গে না হয়। হাসপাতালের এই ধরনের ভুল করা উচিত নয়।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*