করোনার হাত থেকে বিশ্বর অন্য দেশের মতো রেহাই নেই ভারতেরও। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে মৃত্যু হল ৬৭ জনের। নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭১৮ জন। সব মিলিয়ে দেশে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩৩ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১০৭৪ জনের। মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অথবা নিজেদের দেশে ফিরে গেছেন ৮৩২৫ জন। যারফলে দেশে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ২৩ হাজার ৬৫১ টি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তর খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। ১০ হাজারের কোটায় ঢুকছে মহারাষ্ট্রের করোনা সংক্রমণ। বুধবার একলাফে সংক্রমিত ৫৯৭ জন। দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৯৯১৫ জন। জানা গিয়েছে, বুধবারই ৩২ জন মারা গিয়েছেন। তাই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩২।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবধন মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, দেশে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি কিছুটা নিম্নমুখী। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে একটি ভিডিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত এলাকায়, বাড়ানো হতে পারে লকডাউন।
পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে মুখপাত্র ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ”৪ মে থেকে নতুন গাইডলাইন কার্যকর হবে। আর সেই নির্দেশিকায় একাধিক জেলার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।’ নতুন নির্দেশিকা প্রসঙ্গে কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বুধবার লকডাউন নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। লকডাউনের ফলে, পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র। তবে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন কঠোরভাবে মানার কথা বলেছেন তিনি। এদিকে এদিনই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। বুধবার এই ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যেই দেশীয় করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদন শুরু হবে ভারতে।
Be the first to comment