করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্কের জেরে পিছিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের ১১১টি পুরসভার নির্বাচন৷ সোমবার এমনই জানা গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে। এদিনই রাজ্যের ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে কমিশন। পুরভোট ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলে। ১৫ দিন পর ফের পর্যালোচনা বৈঠক করবে কমিশন। সেদিনই পুরভোট নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সব রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের সর্বদলীয় বৈঠকে পুর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল৷ কিন্তু করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই দিনক্ষণ ঘোষনা হল না৷ এদিনের বৈঠক শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানান, আগামী ৩০ মার্চ ফের পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ ততদিন পর্যন্ত ভোটের দিন ঘোষণা স্থগিত থাকবে৷
এদিনে ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ করোনা পরিস্থিতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়৷ প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ২ জন করে প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন৷
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের পুরভোট রমজান মাসের পরে হতে পারে৷ আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস৷ চলবে এক মাস৷ এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল৷ করোনা আতঙ্কে ওই দু’টি পুরসভার ভোট এপ্রিলে হচ্ছে না৷ এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেল সর্বদলীয় বৈঠকে৷
করোনা আতঙ্কে জেরবার বিশ্ব। এদেশেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দেশের ১১৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে মহারাষ্ট্রে।
উদ্ধবের রাজ্যের পরই করোনা আক্রান্তদের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে কেরল। এছাড়াও একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণ। প্রতিটি রাজ্যকে করোনা মোকাবিলায় একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
Be the first to comment