করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে লকডাউন লাগু করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা ১,৭০০ ছুঁই ছুঁই। ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, পরিস্থিতি এখনও নাকি আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু বাস্তব ছবিটা অন্তত এমনটা বলছে না। এরই মধ্যে গবেষকরা সামনে আনছেন বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা আরও চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে কপালে।
গবেষকরা বলছেন, পরিসংখ্যানের বিচারে এপ্রিল মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে করোনা বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হয়েছিল। তবে, মে মাসের ৩ তারিখের পর থেকে সেই প্রবণতার উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৮ এপ্রিল থেকে নিম্নমুখী হয়েছিল। গোটা এপ্রিল মাসজুড়েই প্রায় তা অব্যাহত ছিল। কিন্তু, ৩ মে থেকে তিনদিনের হিসেবে সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে দেখা গিয়েছে।
সরকারি ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, ৭০ শতাংশ রোগীই কো-মর্বিডিটির কারণে মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর পাশাপাশি সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ১৮৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তবে দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। সে রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সে রাজ্যে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫২৫ জনেরও বেশি। মৃতের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। মহারাষ্ট্রের ৩৬টি জেলার মধ্যে ৩৪টিতেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। তবে সেখানে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও সারা দেশের মধ্যে বেশি। ইতিমধ্যেই সেখানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৮১৯ জন।
সংক্রমণের হিসেবে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। সেখানে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ২৪৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৮১ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে আক্রান্ত ৫ হাজার ১০৪ জন। ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Be the first to comment