বিশ্বজুড়ে মারণ অতিমারী নভেল করোনা ভাইরাসের থাবা বেড়েই চলেছে। প্রতি মুহূর্তে চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লড়াইয়ের ময়দানে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসক-নার্সদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এমনকি মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। তবু লড়াই থেমে থাকেনি। ভারতেও করোনা ভাইরাসের থাবায় ২০০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গোটা দেশে ৭৪,২৮১ জন। এদেশে এখনও পর্যন্ত ৯ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এসএসকেএম হাসপাতালে ই এন টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বর্ষীয়ান চিকিৎসক গত বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বছর খানেক আগে তার একটি বড়সর অস্ত্রোপচার হয়।গত কিছুদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেপটিসেমিয়া আক্রান্ত ছিলেন তিনি। রক্তচাপ অনেকটাই কমে যায়।শনিবার রাত থেকে তার জ্বর আসে রবিবারে তার লালা রসে নমুনা পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট আসলে দেখা যায় কোভিড পজেটিভ। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বর্ষীয়ান এই চিকিৎসক। এরপরে দ্রুত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাকে সল্টলেক আমরি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জ্বর থাকায় এবং বয়স জনিত কারণে তাকে আমি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
গত বছরই রাজ্য সরকারের দেওয়া চিকিৎসক সম্মানে ভূষিত হন প্রবীণ চিকিৎসক রাজ্যের চিকিৎসক অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এস এস কে এম হাসপাতালের এই ই এন টি চিকিৎসক।এসএসকেএম হাসপাতালে একের পর এক জটিল ও বিরল অস্ত্রপচারের কৃতিত্ব এই চিকিৎসকের। স্বভাবতই প্রবীণ এই চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে SSKM হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের চিকিৎসক মহলেও আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়শো জন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছে। দুজন প্রবীণ জনপ্রিয় চিকিৎসকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে।
Be the first to comment